Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

height-salery-cricketerমাঠের খেলায় কোহলির রেকর্ড ভেঙে দেওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। ভারতের অধিনায়ক ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়ে যেন উল্কার গতিতে ছুটছেন। তবে এবার টাকার অংকে তাকে পেছনে ফেলে দিলেন অজি আধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। বিশ্ব ক্রিকেটে অধিনায়কদের মধ্যে বছরে সর্বোচ্চ বেতন পান অজি অধিনায়ক। যা ভারত অধিনায়কের চেয়ে অনেক বেশি।

ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রকাশিত একটি বিশদ গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্ট র‌্যাংকিং দশম দল জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমারের চাইতে ২০ গুণ বেশি বেতন পান স্মিথ। স্মিথ বছরে বেতন পান ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার। সেখানে ভারতের দলপতি কোহলির বেতন বছরে ১ মিলিয়ন ডলার। স্মিথ-কোহলির যেখানে কাড়ি কাড়ি টাকা বেতন পান সেখানে ক্রেমার পাচ্ছেন মাত্র ৮৬ হাজার ডলার!

chardike-ad

রিপোর্টে বলা হয়, ‘টেস্ট ক্রিকেটে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ২৩ হাজার ৩৮০ ডলার ম্যাচ ফি পেয়ে থাকেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তবে দেশের মাটিতে প্রায় দ্বিগুণ ম্যাচ ফি পেয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।

রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘এই ম্যাচ ফি শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপর ভিত্তি করে। এগুলোর সঙ্গে টি-২০ লিগ, অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট অথবা অন্য কিছুর সঙ্গে যুক্ত নয়। ‘

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বেতন ছাড়াও ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ও আইপিএল থেকে পাওয়া অর্থের কারণে বর্তমানে সবচেয়ে ধনী ক্রিকেটার কোহলি। কোচদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন ভারতের রবি শাস্ত্রী। বছরে ১ দশমিক ১৭ মিলিয়ন বেতন পেয়ে থাকেন তিনি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের চেয়ে কিছু কম বেতন পান শাস্ত্রী।

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ক্রিকেটারদের এত বেশি বেতন দেয়ার মতো অবস্থায় নেই। তবে মজার ব্যাপার হলো- বাংলাদেশের প্রধান কোচ শ্রীলঙ্কার চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি বেতন পেয়ে থাকেন। তবে শাস্ত্রীই একমাত্র আন্তর্জাতিক কোচ, যার বেতন ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সর্বনিম্ন বেতন ১৫ হাজার ডলার।

ওই রিপোর্ট আরো বলা হয়েছে, পাকিস্তান তাদের কোচকে ক্রিকেটারদের চেয়ে তিনগুণ বেশি বেতন প্রদান করে থাকে! এরপরই আছেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেহম্যান। শাস্ত্রীর বেতনের অর্ধেকের কিছুটা বেশি পেয়ে থাকেন লেহম্যান। শূন্য দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলার পান তিনি। লেহম্যানের চেয়ে সামান্য কম, অর্থাৎ শূন্য দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার বেতন পেয়ে থাকেন ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস।