১৯৯০ সালের পর টানা সাতটি বিশ্বকাপ খেলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনিতেই দেশটিতে ফুটবল খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তো না’ই। ১৯৫০ বিশ্বকাপে সর্বশেষ অংশ নিয়েছিল তারা। এরপর টানা ৪০ বছর বিশ্বকাপে খেলার মত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। এই ৪০ বছরের মধ্যে কত রথি-মহারথি ফুটবল বিশ্ব মাতিয়ে গেলেন! কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেখা মেলেনি।
অবশেষে মার্কিনিরা ফুটবল মাঠে নিজেদের উপস্থিতির প্রমাণ দিতে শুরু করে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ৪০ বছর পর প্রথম ঠাঁই করে নেয়। কনকাকাফ অঞ্চল থেকে মেক্সিকো আর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ খেলা যেন গত ৬-৭টি বিশ্বকাপে নিশ্চিতই ছিল। তাদের বাদ দিয়ে বিশ্বকাপই ছিল অকল্পনীয়।
কিন্তু আবারও হোঁচট খেলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ছিল, অবশ্যই জয়। কিন্তু সেই জয়টিই পেলো না ব্রুস অ্যারেনার শিষ্যরা। হেরে গেলো ২-১ গোলের ব্যবধানে।
এই হারের ফলে কনকাকাফ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান গিয়ে দাঁড়াল পঞ্চম স্থানে। মেক্সিকোর কাছে হন্ডুরাসের হার এবং কোস্টারিকাকে পানামা হারিয়ে দেয়ার ফলেই কপাল পোড়ে যুক্তরাষ্ট্রের। হন্ডুরাস জিতলেও বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়নি। তবে ইন্টার কন্টিনেন্টাল প্লে-অফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে তাদেরকে।
ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর সঙ্গে ড্র করলেও বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতো যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু এদিন কৌভার অটো বোল্ডন স্টেডিয়ামে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ১৭ মিনিটেই ওমর গঞ্জালেজ নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। ৩৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের জালে পরাজয়ের পেরেক ঠুকে দেন অ্যালভিন জোন্স।
৪৭ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করেন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিসিক। কিন্তু এই গোল তাদের রক্ষা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।