Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

paulinho-neymarব্রাজিলের মাঠে জয় পেলে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা ছিল চিলির। কিন্তু নেইমারদের কাছে হেরে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে ৬ নম্বর হয়ে বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব থেকেই ছিটকে পড়লো টানা দুইবারের কোপা আমেরিকা বিজয়ীরা। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে বিদায় নিতে হল তাদের।

ব্রাজিল চাইলে চিলিকে একটু ছাড় দিতেও পারতো! দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এই ম্যাচের জয় পরাজয়ে কিছুই যেতো আসতো না নেইমারদের। কিন্তু তিতের অধীনে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দলটি একদমই ছাড় দিল না। পাওলিনিয়োর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর জোড়া গোল করে চিলির বিশ্বকাপ স্বপ্ন একেবারে শেষ করে দিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

chardike-ad

২০১৫ সালের অক্টোবরে এই চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরেই বাছাইপর্বে যাত্রা শুরু করেছিল ব্রাজিল। এরপরের সময়টা তো কেটেছে রীতিমত স্বপ্নের মত। বাছাইপর্বে টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত থেকেই বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়দের।

গুরুত্বহীন ম্যাচেও দারুণ দাপটে খেলেছে ব্রাজিল। শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো তারা। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে নেইমারের শট ঠেকিয়ে দেন চিলি গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। ৩৮তম মিনিটে গ্যাব্রিয়েলের দুর্বল হেডও ঠেকিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধে গোল দিতে পারেনি কোনো পক্ষই।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ তম মিনিটে দানি আলভেসের ফ্রি-কিক আরেকবার আটকে দিয়েছিলেন ব্রাভো। তবে বল তার হাত থেকে ছুটে গেলে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি পাওলিনহো। এর ঠিক তিন মিনিট পর আরেক গোল করে বসেন জেসুস। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে চিলি গোলরক্ষককে বোকা বানান ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড।

নিশ্চিত বিদায় দেখে ইনজুরি টাইমে বাধ্য হয়েই সব ছেড়ে উপরে উঠে আসে চিলি। ৯২তম মিনিটে কর্নার পেয়েছিল অ্যালেক্সিজ সানচেজের দল। এ সময় পোস্ট ছেড়ে ব্রাজিলের ডি-বক্সে চলে আসেন ব্রাভো। উইলিয়ান বল পেয়ে এই সুযোগে সেটা ঠেলে দেন চিলির ডি বক্সের দিকে। মাঝমাঠ থেকে ছুটে গিয়ে একেবারে ফাকা পোস্টে গোল করেন জেসুস।