সারা মাসে তিনি অফ ডে নিয়েছিলেন মাত্র দু’টি। বাকি দিনগুলোয় টানা কাজ করে যেতে হয়েছিল। সব মিলিয়ে মাসিক হিসেবে প্রায় ১৫৯ ঘণ্টা বাড়তি সময় কাটিয়েছিলেন কর্মক্ষেত্রে। যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিল জাপানি তরুণীকে। ঘটনা ২০১৩ সালের হলেও সম্প্রতি সেই খবর এসেছে প্রকাশ্যে। আরও একবার জাপানের কর্ম সংস্কৃতি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ বছরের মিয়া সাদো টোকিও’র রাজনৈতিক সংবাদদাতা ছিলেন। তাঁকে তাঁর বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মিয়ার মৃত্যুর ৪ বছর পরে এই ঘটনা প্রকাশ্যে এল। জাপানের লেবার ইন্সপেক্টর বিভিন্ন রিপোর্ট ভাল করে খুঁটিয়ে দেখে দাবি করেছেন মিয়াকে প্রাণ খোয়াতে হল কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত ধকল নেওয়ার জন্যই।
জানা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে টোকিওয় নির্বাচন ছিল। সেই কারণে কাজের বাড়তি চাপ পড়েছিল মিয়ার উপরে। নির্বাচনের তিন দিন আগে মারা যান তিনি। মেয়ের অকালমৃত্যুতে ভেঙে পড়ে মা জানিয়েছেন, হয়তো শেষ মুহূর্তে মেয়ে তাঁকে ফোন করতে চেয়েছিল। কাজের চাপে মেয়ের মৃত্যুতে তাঁর জীবনটাই যে এলোমেলো হয়ে গেল সে কথা জানিয়েছেন তিনি।
জাপানের কর্ম সংস্কৃতি নিয়ে এমন অভিযোগ অবশ্য আগেও সামনে এসেছে। কাজের নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত সময় ধরে কাজ করিয়ে সেখানকার কর্মীদের স্বাস্থ্য বিপন্ন করে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০১৬ সালে জাপানের ২ হাজার মানুষ কাজের চাপে প্রাণ দিয়েছেন।