ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের একটি গ্রামের লোকজন ২৬ ফুট লম্বা এক অজগর দিয়ে ভূরিভোজ করেছে। তবে এ ঘটনার পেছনে আছে এক লোমহর্ষক গল্প। স্থানীয় এক লোক অজগরটির সঙ্গে দীর্ঘসময় যুদ্ধ করে সেটি হত্যা করতে সক্ষম হয়।
শনিবার সুমাত্রার বাতাং গানসাল জেলায় একটি পাম বাগানের রাস্তায় নিরাপত্তারক্ষী রবার্ট নাবাবান অজগরটি ধরার চেষ্টা করেন। এ সময় সেটি তার বাঁ হাতে কাঁমড় বসায়। তার হাত অজগরের কাঁমড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের অন্য লোকজন এসে অজগরটিকে মারতে সাহায্য করে। নাবাবান গুরুতর আহত হলেও তিনি বেঁচে আছেন।
মৃত অজগরটি একটি গ্রামে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রদর্শন করা হয়। এরপর সেটি কেটে রান্না করে ভূরিভোজ করে গ্রামবাসী।
ইন্দোনেশীয় সাংবাদমাধ্যম দেতিক-কে নাবাবান বলেন, ‘আমি এটি ধরার চেষ্টা করি, তখন আমার হাতে কাঁমড় বসায় এবং আমি এর সঙ্গে লড়তে সক্ষম হই।’
৩৭ বছর বয়সি নিরাপত্তারক্ষী নাবাবান কেন অজগরটি ধরতে চেয়েছিলেন- সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দেননি। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সাপের ভয়ে গ্রামবাসী রাস্তায় চলাফেরা করতে পারত না। এ কারণে হয় তিনি গ্রামবাসীর ভয় দূর করতে চেয়েছিলেন অথবা রাস্তা পরিষ্কার করতে চায়ছিলেন।
সুমাত্রার প্রত্যন্ত গানসাল জেলায় বেশ কিছু অজগর আছে। বছরে কমপক্ষে ১০টির দেখা মেলে লোকালয়ে। গরমের সময় পানির খোঁজে এবং বর্ষাকালে বৃষ্টিস্নানের জন্য জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসে। এ ছাড়া পাম বাগামে প্রচুর ইঁদুর থাকে। এগুলো শিকার করা অজগরের জন্য সহজ।
বাতাং গানসাল জেলা প্রশাসনের প্রধান এলিনারিয়ং বলেছেন, এই দৈত্যাকার সরিসৃপটির মুখোমুখি না হওয়া ভালো। তবে গ্রামবাসী অজগরটি খেয়েছে- এই খবরে তিনি বিস্মিত নন। তিনি বলেছেন, ‘আমি বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি, এর মাংস নাকি খুবই সুস্বাদু। ২৬ ফুট লম্বা সাপ- এতে অনেক মাংস!’