ঘরের মাঠে পেরুর সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করেছে আর্জেন্টিনা। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপে যাওয়ার শঙ্কা আরও বেড়ে গেল মেসিদের। শুক্রবার ভোর রাতে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই বল নিয়ন্ত্রেণে রেখে আক্রমণ চালায় স্বাগতিকরা। তারপরও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
খেলার ১৪তম মিনিটে কর্নার থেকে মেসির শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টায়। ১০ মিনিট পর ডি-বক্সের প্রান্তে বল পেয়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।
৩৩তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে গোমেসের দুর্দান্ত শটটি ফিরিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসে। এর পর পরই প্রথমার্ধের সবচেয়ে ভালো সুযোগটা পেয়েছিল পেরু। কিন্তু সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি ফারফান।
আর ৩৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বেশ বাই থেকে নেওয়া মেসির শটটি একটুর জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। বিরতির আগে মেসির নিখুঁত ক্রসে খুব কাছ থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেনি স্ট্রাইকার দারিও বেনেদেত্তো।
প্রথমার্ধে অনুজ্জ্বল ডি মারিয়াকে বিরতির সময় বদলে ফেলেন সাম্পাওলি। জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামেন জেনিতের মিডফিল্ডার এমিলিয়ানো রিগোনি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত শুরু করে আর্জেন্টিনা। মেসির বাড়ানো বলে বেনেদেত্তোর শট ঠেকান গোলরক্ষক। এরপর ৫৭তম মিনিটে মেসির পাস থেকে গোমেসের শট দুর্দান্তভাবে প্রতিহত করে গালেসে।
৬৮তম মিনিটে মেসির দারুণ বাড়ানো বল থেকে বেনেদেত্তোর শট ঠেকান সেই গালেসেই। ম্যাচের শেষ দিকে বিপজ্জনক জায়গা থেকে মেসির ফ্রি-কিক বাধা পায় রক্ষণ দেয়ালে।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে শীর্ষ ৪ দল সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলবে। পঞ্চম স্থানের দলকে বিশ্বকাপের টিকেট পেতে খেলতে হবে ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের শীর্ষ দল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে।
আজকের ম্যাচ ড্র করায় মেসিদের সামনে এখন আর মাত্র ২টি পথ রইল রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার। এরমেধ্য একটি ইকুয়েডরের সঙ্গে জিততে হবে। আর ভিন্ন কিছু ঘটলে মেসিদের সামনে বাকি থাকবে একটি পথ। ওশেনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডেরে বিপক্ষে ২টি প্লে অফ খেলতে হবে দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী দলটিকে।
২টি পথই বন্ধ হয়ে গেলে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৪ নাম্বারে থাকা দলটি ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না। র্জেন্টিনা আর ৫ দিন পর শেষ ম্যাচ খেলবে ইকুয়েডরের মাঠে।