নানা-বিতর্ক আর নাটকীয়তার পর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হয়ে চীনে যাওয়ার খেতাব হারালেও জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়েছে অন্যদিকে। ফেসবুক লাইভে এসে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এবং নারী জাগরণের পক্ষে কথা বলে জিতে নিয়েছেন হাজারো মানুষের হৃদয়। ফলস্বরূপ আইসক্রিম ব্র্যান্ড লাভেলোর শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হয়েছেন এই তরুণী।
নতুন করে জেসিয়াকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত করার পরপরই আজ বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাটি দেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর লাভেলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. একরামুল হক। এখন থেকে লাভেলোর মুখপাত্র হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করবেন এভ্রিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এভ্রিল নিজেও। তিনি নতুন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ জেসিয়া ইসলামকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন। বিগত কয়েকদিনে বিভিন্ন সময় এভ্রিল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। ছোটবেলায় কোনও বাধা বিপত্তির কাছে হার মানিনি। বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে সফল হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ ব্যাপকভাবে প্রচলিত। আমি এর বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই। আমি জানাতে চাই, অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে না দিলে তারা কতদূর যেতে পারে। আমি বাবাদের চোখ খুলে দিতে চাই।’
বিগত কয়েকদিন ধরে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হয়ে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘মাফিয়া লেডি’ খ্যাত জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। বিয়ের খবর লুকিয়ে সমালোচিত হয়েছেন এভ্রিল। আজ বুধার আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার শর্ত অনুযায়ী অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল।
বিবি রাসেল বলেন, ‘সেদিন সত্যিই নাম ঘোষণায় ভুল হয়েছিল। বিচারকদের হিসাবে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল পেয়েছিলেন ৫১ নম্বর, জেসিয়া ইসলাম ৪৮ নম্বর আর জান্নাতুল সুমাইয়া পেয়েছিলেন ৪৭ নম্বর।’ কিন্তু বিধি নিষেধের কারণে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েও বঞ্চিত হন এভ্রিল। শেষ পর্যন্ত জেসিয়া ইসলামকেই বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশ্বমঞ্চে জেসিয়াই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।