আমেরিকার দিকে ফের অভিযোগের আঙুল তুলল উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘে তারা অভিযোগ তুলেছে, আমেরিকা তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা দেওয়ার তোড়জোর শুরু করেছে।
তারা এ-ও অভিযোগ তুলেছে, আধুনিক সভ্যতা ধ্বংসের জন্য দারিদ্র্যমুক্ত দেশগুলির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন ভূখণ্ড। এ প্রসঙ্গে উত্তর কোরিয়ার অ্যাম্বাসাডর জা সং নাম জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া এর প্রতিবাদ জানাবে। আত্মনির্ভরশীলতা ও আত্ম-উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক শক্তির রাস্তা তৈরি করবে উত্তর কোরিয়া।
অ্যাম্বাসাডর জা সং বলেন, আমেরিকা নজিরবিহীনভাবে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে ও ব্যাকমেল করছে। জাতিসংঘের সাধারণ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এদিকে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে উত্তর কোরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আবেদন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই আগস্টে নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার কয়লা ও অন্য খনিজ বাইরে রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়াও গত মাসে টেক্সটাইলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তা ছাড়াও তেল রপ্তানির ক্ষেত্রেও বাধার মুখে পড়তে হয় উত্তর কোরিয়াকে।
জা সং জানিয়েছেন, উন্নয়শীল দেশগুলির উপর যে বাধা সৃষ্টি করছে আমেরিকা, তা অবিলম্বে ধ্বংস করে দেওয়া উচিত। জাতিসংঘের হিসেব বলছে, উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ জনসংখ্যা খাবারের কমতি, বন্যা ও ধ্বসের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর প্রভাব পড়ে দেশের কৃষিতে। স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি।
