এক মাসের ছুটি চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। সোমবার (২ অক্টোবর) এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। সুপ্রিমকোর্ট সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘এরকম একটি বিষয় আছে। তিনি আগামীকাল থেকে আদালতে বসছেন না।’ এসময়ে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব কে পালন করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী, পরবর্তী জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়া দায়িত্ব পালন করবেন।’
গত ১ আগস্ট বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর প্রধান বিচারপতির নানা বিষয়ে কথা বলা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়টি কারও কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। জাতীয় সংসদে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ রায়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন ধরনের কথা বলে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, এটা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত। সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন আইনজীবীর এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। পরে গত ৩ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেন।