চীনের গানসু প্রদেশ সফর করে আসার পর জিমিদের গোটা তিনেক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর জন্য দল খুঁজছিল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। এশিয়া কাপের আগে এ প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য ফেডারেশন কখনো চীন, কখনো দক্ষিণ কোরিয়া এবং কখনো মালয়েশিয়ার সঙ্গে চিঠি চালাচালি করেছে; কিন্তু নানা কারণে মিলছিল না স্টিক-বলে। এ দুয়ার ও দুয়ার ঘুরে হকি ফেডারেশন শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজী করাতে পেরেছে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে।
বাংলাদেশের চাওয়া অনুযায়ী অবশ্য তিনটি ম্যাচ নয়, কোরিয়ানরা রাজী হয়েছে মাত্র একটি ম্যাচ খেলতে। ৮ অক্টোবর মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের নবনির্মিত ফ্লাডলাইটের আলোতে হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটি। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ একটি ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন।
১১ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া ৮ জাতির এশিয়া কাপ হকিতে অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়াকে আসার অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশটিতে জাতীয় ছুটির কারণে তারা আগে আসতে না পারার কথা জানিয়ে দিয়েছিল হকি ফেডারেশনকে। তারা আসবে পূর্ব নির্ধারিত ৮ অক্টোবর সকালে। ভোরে এসে সন্ধ্যায় জিমিদের সঙ্গে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলার সম্মতি দিয়েছে কোরিয়ানরা।
টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপের দল ওমান আসবে ৯ অক্টোবর। বাকি সব অতিথি দলই ঢাকায় এসে পৌঁছবে ৮ অক্টোবরের মধ্যে। দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া ৮ অক্টোবর আসা অন্য কোনো দলের সঙ্গে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করার চেষ্টাও করবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। তবে সে চেষ্টার আগে তারা নেবে জাতীয় হকি দলের প্রধান কোচ মাহবুব হারুনের মতামত।