Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

putinরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশে মজুদ সব রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে তার দেশ এ কাজ করেছে বলে জানান পুতিন। একই কাজ করতে ব্যর্থতার জন্য তিনি আমেরিকাকে অভিযুক্ত করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই তার দেশ ‘এই ঐতিহাসিক কাজ’ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সফলতা দেখিয়েছে। আধুনিক বিশ্বকে আরো বেশি ভারসাম্যপূর্ণ ও নিরাপদ করার ক্ষেত্রে এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন।

chardike-ad

আমেরিকা একই কাজ করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সংকটের যে অজুহাত তুলে ধরছে তাকে ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে আমেরিকা নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করছে না। দেশটি এ পর্যন্ত এই কাজে তিনবার সময়সীমা পিছিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তার দেশ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার যে সাফল্য দেখিয়েছে তা বিশ্বের অন্যান্য দেশকেও একই কাজ করতে উৎসাহিত করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

এর আগে রাসায়নিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ বুধবার ঘোষণা করে, রাশিয়া এই গণবিধ্বংসী অস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। ওপিসিডাব্লিউ’র পরিদর্শকরা বিষয়টি নিশ্চিত করার পর সংস্থার মহাপরিচালক আহমেদ উজুমচু এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, রাশিয়ার ‘উদমুর্ত’ রিপাবলিকে দেশটির রাসায়নিক অস্ত্রের সর্বশেষ যে মজুদ ছিল তা ধ্বংস করা হয়েছে। এর আগে রাশিয়ার অন্য ছয়টি রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ২০০৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ধ্বংস করা হয়।

শীতল যুদ্ধের সময় রাসায়নিক অস্ত্রের বিশাল মজুদ গড়ে তুলেছিল আমেরিকা ও রাশিয়া (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন)। তবে ১৯৯৭ সালে রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশনে যোগ দিয়ে দুই দেশই ২০১২ সালের এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করতে সম্মত হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আমেরিকা ও রাশিয়া জানায়, এ কাজ করতে তাদের আরো বেশি সময় প্রয়োজন।