Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

walton-factoryদেশে প্রথম মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন কারখানার উদ্বোধন হচ্ছে ৫ অক্টোবর। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের এই কারখানা উদ্বোধন করবেন।

ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপনের জন্য অনেক আগেই বিটিআরসির কাছে আবেদন করেছিল ওয়ালটন। আশাকরছি শিগগিরই এর অনুমোদন পাওয়া যাবে।

chardike-ad

তিনি জানান, বিটিআরসির নির্দেশিকা অনুয়ায়ী ওয়াটলনের কারখানা হবে ‘এ’ ক্যাটাগরির। ৫ অক্টোবরে দেশের প্রথম এই মোবাইল হ্যান্ডসেট কারখানা উদ্বোধন করবেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে এই কারখানা করছে।

উদয় হাকিম বলেন, এই কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা অনেক দিনের। বাজার গবেষণা, প্রস্তুতি আগেই করা হয়েছে। যন্ত্রপাতি আমদানিসহ প্রকৌশলগত কার্যক্রমও চলছে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী।

শুরুতে মাসে প্রায় ৫ লাখ হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লক্ষ্যের কথা জানান এই পরিচালক। চলতি বাজেটে সরকার স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর বড় ধরণের ছাড় দেয়। এক্ষেত্রে এসকেডি (সেমি নক ডাউন) পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং সিকেডি (কমপ্লিট নক ডাউন) পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর আগে উভয় ক্ষেত্রে এ শুল্ক ছিল ৩৭.০৭ শতাংশ। আর এটিই কোম্পানিগুলোকে দেশের বাজারে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনে আগ্রহী করে তুলছে।

স্থানীয় কোম্পানিগুলো ছাড়াও বিদেশি কিছু কোম্পানিও দেশে হ্যান্ডসেট কারখানা স্থাপনের বিষয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালে বৈধ পথে দেশে তিন কোটি ১০ লাখ হ্যান্ডসেট এসেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশন। আর এই ফোনগুলোর বাজার মূল্য আট হাজার কোটি টাকা।

বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে হ্যান্ডসেট সংযোজন বা উৎপাদন করছে না। আর সে কারণে হ্যান্ডসেটের পেছনে খরচ হওয়া পুরো টাকাই বিদেশে চলে যায়।

স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহ দিতেই সরকার হ্যান্ডসেট যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি এর তৈরি হ্যান্ডসেট আমদানি শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে।