Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

popular-rigentরাজধানীতে একটি হাসপাতাল, একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একটি মেডিক হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। টেস্ট না করে রিপোর্ট দেয়া, এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে আরেক চিকিৎসকের স্বাক্ষর, ৬০ টাকার ওষুধ ৫০০ টাকা মূল্য লিখে বিক্রি করার প্রমাণ মিলেছে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

সোমবার মিরপুরে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রিজেন্ট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেডিক হেলথ কেয়ারের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের প্রমাণ পায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠান তিনটিকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

chardike-ad

র‌্যাব জানিয়েছে, র‌্যাব-৪ ব্যাটালিয়ন সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মিরপুর এলাকায় অভিযান চালায়। পরে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠান তিনটিকে ১৩ লাখ জরিমানা করে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক সারওয়ার আলম বলেন, দুপুর ১টা বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়।

তিনি বলেন, অভিযানকালে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্ট ব্যবহার, ভুয়া প্যাথলজিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট প্রদান করছে পপুলার ডায়ানস্টিক সেন্টার। তাছাড়া এক চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে আরেক চিকিৎসকের স্বাক্ষর দেখা গেছে। এজন্য ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অন্যদিকে রিজেন্ট হাসপাতালে দেখা যায়, ৬০ টাকার ওষুধ ৫০০ টাকা মূল্য লিখে তা বিক্রি করা হচ্ছিল। ইন্ডিয়ান মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছিল হাসপাতালটি, যা আইনত অপরাধ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি অনুমোদন না নিয়েই ব্লাড ট্রান্সফার করে আসছিল। এইচআইভি, ম্যালেরিয়াসহ কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। তাও করে না প্রতিষ্ঠানটি। এসব অনিয়ম প্রমাণের ভিত্তিতে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

এছাড়া টেস্ট না করে রিপোর্ট দেয়ায় মেডিক হেলথ কেয়ারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।