Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

helicopterদেশের বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিচালনার পরিধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এই খাতের নিরাপত্তা ঝুঁকিও। হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ নিয়ম না মানায় যাত্রীদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। সম্প্রতি এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেসটিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশের (এএআইজি-বিডি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে হেলিকপ্টার সার্ভিসকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে এ খাতের ওপর নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ১৯৯৯ সালে হেলিকপ্টার সার্ভিস শুরু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস। বর্তমানে ৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ খাতে। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন হেলিকপ্টারের সংখ্যা ১৮টি।

chardike-ad

২০১৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ায় বিধ্বস্ত হয় মেঘনা এভিয়েশনের ‘আর সিক্স সিক্স’ নামের একটি হেলিকপ্টার। এ দুর্ঘটনার তদন্ত করে এএআইজি-বিডি। চলতি মাসে সিভিল এভিয়েশনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদনেও হেলিকপ্টার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার ও নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি গুরুত্বসহ তুলে ধরা হয়েছে।

এএআইজি-বিডি-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মেঘনা এভিয়েশনের দুর্ঘটনাকবলিত ‘আর সিক্স সিক্স’ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়া আগে এটি সমুদ্র সৈকতের ওপর লো লেভেলে (ভূমি থেকে কাছাকাছি) উড়ছিল। ফ্লাইটটি পরিচালনার জন্য সিভিল এভিয়েশন অথরিটির যথাযথ নিয়ম মেনে অনুমতি নেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া দুর্বল ছিল বলেও উল্লেখ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোদারের সুপারিশ করা হয়।

নজরদারি বাড়ানো প্রসঙ্গে সিভিল এভিয়েশনের পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির বলেন, ‘বেসরকারি হেলিকপ্টার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য যেখানে আগে ফ্লাইট অপারেশন ইন্সপেক্টর ছিলেন একজন, সেখানে এখন দুই জন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) নির্দেশনা অনুযায়ী দুই জন ইনস্পেক্টরই পর্যাপ্ত। তারপরও আরও দুই জন ইনস্পেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

জিয়াউল কবির আরও বলেন, ‘আইকাও’র আইনে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির বেসরকারিভাবে হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য নীতিমালা রয়েছে। নীতিমালা না মানলে লাইসেন্স বাতিল, স্থগিত করাসহ আর্থিক জরিমানা করারও বিধান রয়েছে।’