পপ তারকা অ্যাভরাল লেভিনের নাম লিখে ভুলেও ইন্টারনেটে সার্চ দেবেন না! কারণ অন্তর্জালে ৩২ বছর বয়সী এই তারকাকে খুঁজতে গেলেই আপনার কম্পিউটার পড়বে ভাইরাস আক্রমণের ঝুঁকিতে। তাই ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক তারকা’র তালিকায় শীর্ষে আছেন তিনিই। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য প্রকাশ করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি।
জানা গেছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটে যাওয়ার ফাঁদে ফেলতে বেশি ব্যবহার করা হয় অ্যাভরাল লেভিনের নাম। যে কোনও সার্চ ইঞ্জিনে ‘অ্যাভরাল লেভিন’ নামটি লিখলে সেই আশঙ্কা রয়েছে ১৪.৫ শতাংশ। তবে ‘অ্যাভরাল লেভিন ফ্রি এমপিথ্রি’ লিখে সার্চ দিলে সেই আশঙ্কা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ শতাংশে।
বিপজ্জনক ১০ তারকার তালিকায় তারপরেই অর্থাৎ দুই নম্বরে আছেন গায়ক ব্রুনো মার্স। তিন থেকে পাঁচে আছেন যথাক্রমে গায়িকা কার্লি রেই জেপসেন, গায়ক জাইন মালিক ও ‘টাইটানিক’খ্যাত গায়িকা সেলিন ডিওন। তালিকায় ৬ থেকে ১০ নম্বরে আছেন যথাক্রমে ডিজে ক্যালভিন হ্যারিস, পপতারকা জাস্টিন বিবার, র্যাপার শন ‘ডিডি’ কম্বস, গায়িকা কেটি পেরি ও বিয়ন্সে।
গুগল, বিং ও ইয়াহু ঘেঁটে ম্যাকাফি অনুসন্ধানে দেখেছে, ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ভাইরাস তৈরির ক্ষেত্রে তারকাদের নামই বেশি ব্যবহার করে থাকে হ্যাকার ও সাইবার অপরাধীরা। এক্ষেত্রে তাদের নজরে থাকে দুই ধরনের তারকা। কারা বেশি জনপ্রিয় ও কারা প্রভাব বিস্তার করছে বেশি।
ম্যাকাফির গ্লোবাল কনজ্যুমার মার্কেটিং বিভাগের সহ-সভাপতি গ্যারি ডেভিস জানান, বর্তমান ডিজিটাল বিশ্বে সবাই নতুন হিট হওয়া অ্যালবাম ও ভিডিও নিজেদের ডিভাইসে পেতে চায়। এজন্য সংগীতশিল্পীদের নামে দূষিত সফটওয়্যারে ভরা ওয়েবসাইটে যেতে প্রলুব্ধ করে সাইবার অপরাধীরা ভাইরাস ছেড়ে দেয়।
সমীক্ষায় জানা যায়, এখন অ্যাভরাল লেভিনের নামে ভাইরাস ছেড়ে দিলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সহজে ফাঁদে ফেলা যাচ্ছে। তিনি খ্যাতি পান ২০০২ সালে প্রকাশিত ‘কমপ্লিকেটেড’ গানের সুবাদে। লাইম রোগের কারণে কয়েক বছর ধরে আলোচনায় নেই তিনি। অবশ্য গত বছর একসময়ের এই পপের রানি জানান, ২০১৭ সালেই নতুন অ্যালবাম নিয়ে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা আছে তার। মূলত এ কারণে নতুন গানের খবরের জন্য ইন্টারনেটে তাকে শ্রোতারা খুঁজেছে বেশি।
তালিকায় শীর্ষ ২৫ জনের মধ্যে ‘পিচ পারফেক্ট’ ছবির তারকা আনা কেন্ড্রিক, গায়িকা জেনিফার লোপেজ আর উঠতি তারকা হেইলি স্টেইনফেল্ডও আছেন।