Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

foodপৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের, প্রতিটি জনপদেরই থাকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য, ঐতিহ্য ও খাবার। তবে দেশ-কাল যাই হোক না কেন; স্বভাবতই বাইরে থেকে কোথাও গিয়ে ওই অঞ্চলের খাবারের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ থাকে যে কারোই। ইতিহাস-ঐহিত্য ও বিচিত্রতায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নিঃসন্দেহে এখানকার মুখরোচক, সুস্বাদু ও দৃষ্টিনন্দন খাবার ।

মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের এমন ২০ রকমের খাবার নিয়ে এক প্রতিবেদন ছেপেছে। লেবানিজ-মার্কিন খাদ্যপণ্য বিষয়ক ব্লগার বেথানি কেহডি’র ওয়েবসাইট ডার্টিকিচেনসিক্রেটস.কম থেকে এ ২০টি খাবার বাছাই করা হয়েছে। সিএনএন ও উইকিপিডিয়া ঘেঁটে জানা গেলো মধ্যপ্রাচের সেরা খাবারগুলোর সেরা ৫ আইটেমের সাত-পাঁচ।

chardike-ad

hummusহুম্মাস: হুম্মাস আরবি শব্দ। জেরুজালেম ও মিসরের ঐতিহ্যবাহী খাবার এটি। বড় ফুলে ওঠা গোলাকার রুটির ওপর ছড়ানো সেদ্ধু আলু ও মসলার মিশেলে তৈরি হয় হুম্মাস। এটা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় সেদ্ধ ও ভর্তা করা মুরগির মাংস, মটরশুঁটির সঙ্গে তেহানি, অলিভ অয়েল ও লেবুর রস, রসুন ও লবনের মিশ্রণ।

manakeeshমানাকিশ: দেখতে হুবহু পিৎজার মতো মানাকিশ এক ধরণের পিৎজা। ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোর ঐহিত্যবাহী এ খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় মূলত পনির ও মাংস ও সুগন্ধি গুল্ম।

halloumiভাজা হালোওমি: ছোট ছোট ফালি আকারের এ খাবার তৈরিতে ছাগল ও ভেড়ার দুধ ব্যবহার করা হয়। তবে এটা প্রক্রিয়াজাতকরণে পনিরের বদলে অ্যামিড বা ব্যাকটেরিয়ার দরকার হয় না। এটি লেবাবনন ও সাইপ্রাসের একটি জনপ্রিয় খাবার এটি।

foul-meddamasফাল মেড্ডামস: এটা মূলত সেদ্ধ মটরশুঁটি দিয়ে তৈরি খাবার । সুগন্ধি লতা, পেঁয়াজ, অলিভ অয়েল ও লেবুর সংমিশ্রণে স্যুপ জাতীয় এ খারার তৈরি হয়। মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় খাবার এটি।

falafelফালাফেল: মুরগির মাংসের সঙ্গে মটরশুঁটি ও সুগন্ধিজাতীয় গুল্ম মিশিয়ে এ খাবার তৈরি হয়। দেখতে অনেকটা আলু চপ ও বড়ার মতো। এটি মিসর, সিরিয়া ও জর্দানের একটি জনপ্রিয় খাবার। তবে অনেকে একে ভারতীয় খাবার দাবি করেন।