৩০ সেপ্টেম্বর ছিল শেষ দিবস। এর মধ্যে যে আটটি দল র্যাংকিংয়ে সেরা আটটি স্থানে থাকবে তারাই আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে। তবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেতে হলো না। ১০ দিন আগেই নির্ধারিত হয়ে গেলো বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে কোন আটটি দেশ।
মঙ্গলবার রাতে ইংল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেরে যাওয়ার পরই নিশ্চিত হয়ে গেলো, বিশ্বকাপে সর্বশেষ দল হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। কারণ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাকি যে চারটি ম্যাচ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের, এই চার ম্যাচ দিয়ে শ্রীলঙ্কার ওপরে ওঠা সম্ভব নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। আইসিসি থেকেই ই-মেইল করে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
সাত দলের আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলা মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। কারণ, নবম দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনোভাবেই সপ্তম দল বাংলাদেশকে অতিক্রম করা সম্ভব ছিল না। বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৪। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭৮। শ্রীলঙ্কা সম্প্রতি ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হেরে যাওয়ার কারণে তাদের রেটিং পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮৬।
এ কারণে শেষ (অষ্টম) স্থানটির জন্য একটা দোদুল্যমান অবস্থা ছিল। এই স্থানটির দখলের লড়াইয়ে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তাদের সামনে সুযোগ ছিল আয়ারল্যান্ডকে ১ ম্যাচের সিরিজের হারানোর সঙ্গে ইংল্যান্ডকেও ৫-০ ব্যবধানে হারাতে পারলেই কেবল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাবে।
কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি গিয়েছে বৃষ্টিতে ভেসে। সে সঙ্গে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে হারতে হয়েছে তাদের। এ কারণে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সব সম্ভাবনা তাদের শেষ হয়ে যায়।
২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ এখনও রয়েছে ক্যারিবীয়দের। তবে তাদেরকে খেলতে হবে বাছাই পর্ব। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে নন-টেস্ট প্লেইং দেশগুলো। ক্রিস গেইলদের জন্য এটা লজ্জারই বটে।
যে আটটি দেশ সরাসরি আগামী বিশ্বকাপে খেলবে তারা হলো- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।
বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়ে উল্লসিত শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘সবারই জানা আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। তবে আমি আমাদের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে। আর সব সময়ই আইসিসি ইভেন্ট মানে, শ্রীলঙ্কান ম্যাজিক। আশা করি ভবিষ্যতেও আমরা এই ধারা অব্যাহ রাখতে পারবো।’