স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাকিস্তানের ক্রিকেটার খালিদ লতিফকে পাঁচ বছরের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
নিজেদের অফিসিয়াল টুইটারে পিসিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি এক মিলিয়ন রুপি জরিমানা করা হয়েছে পাকিস্তানের এ ওপেনারকে। ৩১ বছর বয়সি খালিদ লতিফ পিএসএলে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে দুবাইয়ে পিএসএল চলাকালীন সময়ে স্পট ফিক্সিং করেছিলেন খালিদ লতিফ। পিএসএলকে কলুষিত করতে একটি আন্তর্জাতিক চক্র অবৈধ টাকার লেনদেন করছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন ইউনিট ও আকসু। তাদের তদন্তে এই চক্রের সঙ্গে খালিদ লতিফের জড়িত থাকার বিষয়টি আঁচ পাওয়া যায়। শুধু খালিদ লতিফ একা নন, এতে জড়িত ছিলেন শারজিল খান ও মোহাম্মদ ইরফান। তাৎক্ষণিক এ তিন ক্রিকেটারকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় পিসিবি।
বোর্ড তদন্ত করে জানতে পারে পিএসএলের আগে মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গে জুয়াড়িদের যোগাযোগ ছিল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে পিসিবির কাছে বিষয়টি লুকিয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার। অপরাধ কম হওয়ায় ১০ লাখ রুপি জরিমানা এবং ছয় মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ইরফান।
তদন্তে শারজিল খানের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আগেই তাকেও পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে পিসিবি।
পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের দুর্নীতিতে জড়ানোটা এই প্রথম নয়। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ ও সালমান বাট। এছাড়া লেগ স্পিনার দিনেশ কার্তিক ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছেন। পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মোহাম্মদ আমির ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন।