বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় অবশেষে ‘ফেঁসেই’ যাচ্ছেন ফিলিপাইনের বেসরকারি রিজাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দিগুইতো। তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়েরের সুপারিশ করেছেন আইনজীবীরা।
তবে একই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাচ্ছে রেমিটেন্স সংক্রান্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিলরেম ও দুই ক্যাসিনো ব্যবসায়ী। ম্যানিলার আদালতে গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৪ আগস্ট এ প্রস্তাব ঘোষণার কথা ছিল।
তবে আদালতের এ সিদ্ধান্তকে সুচোখে দেখেননি দিগুইতোর আইনজীবী। তিনি এটাকে বিচারের নামে হাস্যকর প্রহসন বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, নিউইয়র্ক ফেড থেকে এ ব্যাপারে আপাতত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডে গচ্ছিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাচার হয়। অভিযোগ আছে, ওই অর্থ ফিলিপাইনের আর্থিক সিস্টেমে প্রবেশ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সময় রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে সুইফট বার্তা পাঠায়। এবং হ্যাক হওয়া অর্থ লেনদেন থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তখনও লেনদেন চালু রাখা হয়।
এ ঘটনায় রিজাল ব্যাংককে ১০০ কোটি ফিলিপিনো পেসো জরিমানা করা হয়। এ সময় ম্যানিলার একটি আদালত বাংলাদেশ ব্যাংককে দুই দফায় চুরি হওয়া অর্থ ফেরতের নির্দেশ দেয়। ক্যাসিনো ব্যবসায় অং ওই সময় ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কিছু টাকা পরিশোধ করেন। বাকি অর্থ এখনো উদ্ধার হয়নি।