ফুটবলার সাবিনা মালদ্বীপের ঘরোয়া আসরে খেলেছেন একাধিকবার। এবার অন্য ডিসিপ্লিনের আরেক কন্যাও গেছেন দ্বীপ দেশটিতে। জাতীয় নারী হ্যান্ডবল দলের এবং মোহামেডানের সিক্স মিটার পজিশনের খেলোয়াড় সুমি বেগমকে উড়িয়ে নিয়েছে মালদ্বীপের ড. আব্দুল সামাদ মেমোরিয়াল হসপিটাল হ্যান্ডবল টিম নামের একটি দল। সোমবার দেশটিতে শুরু হয়েছে হাভারু উইমেন্স হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের প্রথম হ্যান্ডবল খেলোয়াড় হিসেবে ভীনদেশের কোনো ঘরোয়া আসরে খেলবেন সুমি।
সুমির মালদ্বীপে খেলার সুযোগটা তৈরি হয়েছে মূলতঃ কোচ আমজাদ হোসেনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ কোচ দুই বছর ধরে পালন করছেন মালদ্বীপ জাতীয় দলের দায়িত্ব। তার মাধ্যমেই ড. আব্দুল সামাদ মেমোরিয়াল হসপিটাল হ্যান্ডবল টিম যোগাযোগ করে সুমির সঙ্গে। বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের অনুমতি নিয়ে সুমি সোমবার গেছেন মালদ্বীপে। টুর্নামেন্ট শেষ করে তার ১০ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরার কথা।
বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক এস, এম খালেকুজ্জামান স্বপন জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘এর আগে হ্যান্ডবলের কোনো খেলোয়াড় অন্য দেশে গিয়ে ঘরোয়া টুর্নামেন্ট খেলেননি। সুমির মালদ্বীপ যাওয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়ের নতুন একটি দ্বারও উন্মোচিত হলো। সামনে মালদ্বীপের ঘরোয়া পুরুষদের লিগ। আমাদের ৫/৬ জন খেলোয়াড়ের ওই লিগে যাওয়ার একটা কথা-বার্তাও চলছে।’
সুমিকে কেমন পারিশ্রমিক দেবে মালদ্বীপের দলটি? ‘মাত্র কয়েকদিনের টুর্নামেন্ট। আমার জানামতে মালদ্বীপ যাওয়া-আসার বিমানভাড়া, থাকা-খাওয়া, স্থানীয় অন্যান্য খরচ বহন ছাড়াও দলটি সুমিকে ৫০০ মার্কিন ডলার দেবে। পারিশ্রমিকের চেয়ে একজন বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের বিদেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের অংশ গ্রহণের সুযোগ পাওয়াটাকেই বড় করে দেখছি’- বলেন হ্যান্ডবল ফেডাশেনের ওই কর্মকর্তা।