Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

pakistanভ্রমণ পিপাসুদের অাকর্ষণের জন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে ভিসা ছাড়াই ৮০ টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে কাতার। সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ।

ওই ৮০ দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর বাইরে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার নাম থাকলে পাকিস্তান নেই। কাতারের এ ধরনের আচরণে ইসলামাবাদ ক্ষুব্ধ হলেও দোহার অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

chardike-ad

অন্যদিকে ২০১১ সাল থেকে পাকিস্তানিদের ভিসা দিতে কড়াকড়ি করছে কুয়েত। তবে দেশটি পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল না করলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশটির নাগরিকদের ভিন্ন চোখে দেখে।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ২০১৭ সালের মার্চে ব্যক্তিগতভাবে কুয়েতের নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু তার পরেও পাকিস্তান ভিসার ব্যাপারে কুয়েতের সীমাবদ্ধ তালিকায় রয়েছে।

তাহলে কি পাকিস্তানের সঙ্গে আরববিশ্বের দেশগুলোর সম্পর্ক একেবারেই শেষ প্রান্তে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে? এমন প্রশ্ন ঘুরেফিরেই আসছে। ২০১৫ সালে সৌদি জোটের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পাকিস্তান। তা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত অবশ্য বেশ ক্ষুব্ধ।

চলতি বছরের শুরুর দিকে সৌদি আরব পাকিস্তানের কাছে জানতে চেয়েছিল, রিয়াদ এবং দোহার মধ্যে তারা কাকে বেছে নিতে চায়? কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর অবরোধ আরোপের সময়ও দেশটি ইসলামাবাদের অবস্থান জানতে চায়।

অথচ কাতার যে পাকিস্তানের ব্যাপারে এবারই প্রথম নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্যাপারটি সেরকমও নয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারত, চীন ও রাশিয়ার ভ্রমণ পিপাসুদের প্রবেশের অনুমতি দেয় কাতার।

আর চলতি বছরে এসে ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন কার্ড’ধারী এবং যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের ভিসা ছাড়াই প্রবেশের অনুমতি দেয়। সেই তালিকাতেও স্থান পায়নি পাকিস্তান।

কাতারের সঙ্গে ১৫ বছর আগে করা এলএনজি চুক্তির মেয়াদও ১৬ সালে শেষ হয়ে গেছে। সেই চুক্তি নতুন করে বাস্তবায়ন করারও তেমন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।

কুয়েতের ভিসা কড়াকড়ির কারণে সমস্যায় পড়েছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। উপসাগরীয় দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরাও এ কারণে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

এতে করে পরিষ্কারভাবে কোনো দিক থেকে কোনো রকম মন্তব্য না আসলেও কারোই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না, আরব উপদ্বীপে বন্ধু হারাতে বসেছে পাকিস্তান। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া