সকল ট্রাভেল ডকুমেন্ট সঠিক থাকার পরও এক যাত্রীকে বোর্ডিং পাশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় যাত্রী এ কে এম রাশেদুল হাসান এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ার ইন্ডিয়াকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ১৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ আদেশ প্রদান করেন।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার যাত্রী রাশেদুল অদ্য ১৯ আগস্ট ভিজিট ভিসায় ভারত গমনের জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়া চেক-ইন কাউন্টারে গেলে কাউন্টার সুপারভাইজার প্রথমে তাঁর রিটার্ন টিকেট দেখতে চান। যাত্রী রিটার্ন টিকেট দেখানোর পর সুপারভাইজার পুনরায় তার হোটেল বুকিং দেখতে চান, যদিও ইন্ডিয়াতে ভিজিট ভিসায় হোটেল বুকিং আবশ্যিক নয়। যাত্রী হোটেল বুকিং দেখানোর পর তাঁকে পুনরায় ইন্ডিয়ায় আত্মীয়-স্বজন আছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। ইন্ডিয়াতে যাত্রীর ভাই থাকে মর্মে জানালে সুপারভাইজার বলেন, ‘ভাই থাকতে আপনি হোটেলে উঠবেন কেন? বিষয়টা কনফিউজিং, আমরা আপনাকে নিতে পারবো না। ‘
এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুফ ফোনে জানান, ইন্ডিয়ায় ভিজিট ভিসায় কেবল রিটার্ন টিকেটের আবশ্যকতা আছে। হোটেল বুকিং কিংবা আত্মীস্বজন থাকা না থাকার কোনো ব্যাপার নেই। তবুও প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় সব চাহিদা পূরণের পরও এয়ার ইন্ডিয়া কেন যাত্রীকে বোডিং পাস দেয়নি, তার কোনো উত্তরই তারা দিতে পারেননি। এটি সন্দেহাতীতভাবে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন এবং সে কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে এয়ারলাইন্সটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং যাত্রীকে নির্ধারিত এআই-২২৯ ফ্লাইটে পূর্বের টিকেটেই ইন্ডিয়া প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যাত্রী রাশেদুল রাত ৯.২৫ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার নির্ধারিত ফ্লাইটে ইন্ডিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়ে গেছেন। রাত ১১টার দিকে জরিমানার টাকা আদায় হয়েছে। আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ (৫০ হাজার টাকা) যাত্রী বিদেশ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয় হতে গ্রহণ করবেন। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ (১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) সরকারি কোষাগারে জমা হবে।