উত্তর কোরিয়া যদি হামলা চালায় তাহলে বাঁচার কৌশল কী হবে, সে বিষয়ে শনিবার মহড়া চালিয়েছে জাপানের একটি উপকূলীয় শহরের বাসিন্দারা। প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপে উত্তর কোরিয়া হামলা চালালে তাদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র যাবে কাতৌরা নামের এই শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির ওপর দিয়ে। ফলে বাঁচার কৌশল নিয়ে আগেভাগে মহড়া চালাচ্ছে তারা।
একটি স্পিকারে সাইরেন বাজানো হয়। উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লে এ ধরনের সাইরেন বাজানো হবে। তখন মাঠে ফুটবল খেলছিল শিশুরা। সাইরেন শুনে শিশুরা তাদের বাবা-মা ও কোচের সঙ্গে ছুটে গিয়ে স্কুলভবনে আশ্রয় নেয়।
মহড়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিশুদের ফুটবল কোচ ৩৮ বছর বয়সি আকিরা হামাকাওয়া বলেছেন, ‘আমি প্রতিদিনই উদ্বেগে ভুগি, এখানে হয়তো কিছু একটা পড়তে পারে অথবা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু সক্ষমতার ঘাটতির কারণে ভুল স্থানেও ক্ষেপণাস্ত্র পড়তে পারে।’
পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বানানোয় উত্তর কোরিয়ার দ্রুত অগ্রগতি জাপানের কাতৌরা শহরের মানুষের মধ্যে দিনকে দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মিত্রদের রক্ষা করা হবে। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হামলার হুমকির পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কঠোর জবাব দেওয়ার পাল্টা হুমকি দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পর দেশটি হুমকি দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম সামরিক ঘাঁটিতে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়ে এর জবাব দেবে। গুয়ামের উদ্দেশে উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের আকাশ অতিক্রম করে যাবে। এ সময় ভুল করে জাপানের ভূভাগে ক্ষেপণাস্ত্র পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওই অঞ্চলের জাপানিরা।
তবে আপাতত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু সোমবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হলে আবার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে উত্তর কোরিয়া। ফলে যুদ্ধের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স অনলাইন