এক সময় তিনি ছিলেন টেস্ট দলের ‘অটোমেটিক চয়েজ’। অথচ সাদা পোশাকের ক্রিকেটে মুমিনুল হক এখন উপেক্ষিত। গত মার্চে কলম্বোতে বাংলাদেশের শততম টেস্টে সুযোগ পাননি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দলেও তিনি নেই। টানা ১১ টেস্টে হাফসেঞ্চুরি করে ভিভ রিচার্ডসের মতো কিংবদন্তির পাশে দাঁড়ানো মুমিনুল কেন উপেক্ষার শিকার? প্রশ্নটার উত্তর একটাই-পারফরম্যান্স। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর তেমনই বক্তব্য।
শনিবার প্রথম টেস্টের দল ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে নান্নু জানিয়েছেন, জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ড থেকে মার্চে শ্রীলঙ্কা সফর পর্যন্ত পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে মুমিনুলকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচকরা, ‘সামগ্রিক পারফরম্যান্সের কারণে মুমিনুল বাদ পড়েছে। ও যে পজিশনে ব্যাট করে, সেখানে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস ভালো করছে। গত জানুয়ারি থেকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ পর্যন্ত ৬টি টেস্ট ইনিংসে মাত্র একটি ফিফটি মুমিনুলের। এমন পারফরম্যান্সের কারণে সে নেই।’
তাই বলে মুমিনুলের দলে ফেরার আশা শেষ, এমনটা মনে করছেন না প্রধান নির্বাচক, ‘মুমিনুল যে আমাদের চোখের আড়ালে চলে গেছে, তা নয়। তবে সে যেভাবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিল, সেভাবে খেলতে পারছে না। ওকে নিয়ে সামনে আমাদের অনেক চিন্তা-ভাবনা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওকে নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এমন নয় যে ওর ক্যারিয়ার আমরা এখানেই শেষ করে দিচ্ছি।’
মুমিনুলের বদলে সৌম্য আর ইমরুলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে নান্নুর বক্তব্য, ‘সাত টেস্ট খেলে চারটি ফিফটি করেছে সৌম্য। অন্যদিকে ঘরের মাঠে ইমরুলের পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। ইনজুরির কারণে কয়েকটি ম্যাচ মিস না করলে ওর অবস্থান আরও ভালো থাকত। গত কয়েকটি টেস্টে সৌম্য ভালো খেলেছে। এজন্য ইমরুলকে তিন নম্বরে খেলানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।’
মুমিনুল কি তাহলে দুর্ভাগ্যের শিকার? প্রধান নির্বাচক এটাকে ‘দুর্ভাগ্য’ বলে মানতে নারাজ, ‘প্রথম টেস্টের দল থেকে তার বাদ পড়াকে আনলাকি বলা যায় না। আমার বিশ্বাস, একজন খেলোয়াড়কে সব সময় তার পারফরম্যান্স বিবেচনা করে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। একজন ব্যাটসম্যান টানা চার-পাঁচ ম্যাচে রান না করলে তার আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা চিড় ধরে যায়। আর ঘরের মাঠে চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এসব চিন্তা করেই প্রথম টেস্টে মুমিনুলকে রাখা হয়নি।’