ভারতের দিল্লির কাশ্মীরি গেটের কাছে গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে রাস্তায় ১২ ঘণ্টা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন নরেন্দ্র কুমার। কিন্তু এ দীর্ঘ সময়েও কেউ তাকে সাহায্য না করে উল্টো তার পকেট সাবাড় করে নিয়ে গেছেন।
গত ১৬ আগস্ট এমন অমানবিক ঘটনা ঘটে নয়াদিল্লির কাশ্মীরি গেট বাস টার্মিনাস এলাকায়। বর্তমানে গুরুতর জখম নরেন্দ্রকে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাস্তার পাশে আহত হয়ে ১২ ঘণ্টা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেউ তার সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। উল্টো না দেখার ভান করে চলে যান পথচারীরা। তবে যারা অচেতন নরেন্দ্রর কাছে গেছেন, তাদের কেউ সুযোগ বুঝে চুরি করেছে তার মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা মাত্র ১২ টাকাও।
পুলিশ জানায়, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা ৩৫ বছরের নরেন্দ্র পেশায় গাড়িচালক। ঘটনার দিন জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বিকেল ৫টার দিকে দিল্লির কাশ্মীরি গেটের কাছে বাস ধরতে গিয়ে হঠাৎ একটি গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। এতে গলা, পা ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান তিনি।
সারারাত রাস্তাতেই পড়েছিলেন তিনি। পরদিন সকালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। তবে আহত হয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকলেও তাকে সাহায্য করতে কেউ আসেনি। কয়েকজন এগিয়ে গেলেও উল্টো পকেট মেরে দিয়েছেন কেউ।
পুলিশ আরও জানায়, নরেন্দ্রকে আঘাত করা গাড়িটির হদিস মেলেনি। তবে এ ঘটনায় বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো এবং চুরির মামলা রুজু করা হয়েছে।