Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
du-student
মারধরের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় মারধর করা হয় তাদেরকে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হলের অতিথি কক্ষে তাঁদের মারধর করা হয়।

মারধরের শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বনী, মেহেদী, মাশরুর, ইরফান ও তৃতীয় বর্ষের গফ্ফার। তাঁদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

chardike-ad

আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে প্রথমে কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে রড ও লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করেন। মারধরের সময় তাঁদের কাছে থাকা মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। মারধরের পর তাঁদের হলের সামনে ফেলে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওই শিক্ষার্থীরা কিছু ইসলামিক পেজে লাইক দেওয়ায় তাঁদের শিবির হিসেবে সন্দেহ হয়। পরে তাঁদের হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে শিবিরের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষটি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা স্বীকার না করায় মারধর করা হয়েছে।

পানি চাইলেও পানি দেয়নি: মারধরের শিকার বনী নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি তাঁদের বলেছিলাম, আমাকে এক গ্লাস পানি দিন। তারপর আবার মারেন, না হলে আমি মারা যাব। প্রচণ্ড পানির পিপাসা লাগছে। আমি পানি চাইলে তাঁরা আমাকে পানি দেয়নি। বরং তাঁরা আরো মেরে আমাকে রক্তাক্ত করেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি জহির আহমেদ, ‘তাঁরা (পাঁচ শিক্ষার্থী) শিবির করে, তাই তাঁদের মারধর করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনছি। আর তাদের (মারধরের শিকার পাঁচ শিক্ষার্থী) ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করেছি। থানায় তাদের শিবির করার ব্যাপারে কোনো প্রমাণ পায়নি বলে আমাকে জানিয়েছে।’