Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

woman-safe-countryএটা চোখ বন্ধ করে অনেকেই স্বীকার করবেন যে, বাংলাদেশে নারীদেরকে সমাজের শত বিধিনিষেধ মেনে চলা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। নারী স্বাধীনতা এবং নারী অধিকার রক্ষায় আইন আছে ঠিকই, কিন্তু তার সুবিধা সবাই নিতে পারেন না। এছাড়াও চাকরিজীবী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থাটাও সব পেশায় ভালো নয়।

এমনই অবস্থা কি সারা পৃথিবীতেই? না। এমন কিছু দেশ আছে যেখানে সামাজিক অবস্থাটা নারীর জন্য খুবই নিরাপদ এবং স্বস্তিজনক। এসব দেশ সাম্প্রতিক সময়ে নারীর নিরাপত্তা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে অনেকদূর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ সুবিধাও তুলনামূলকভাবে বেশি এখানে। চলুন দেখে আসি এমনই ১০টি দেশকে। ছোট্ট একটা কথা বলে রাখি এখানে। নারীর জন্য নিরাপদ এই ১০টি দেশের মাঝে কিন্তু নেই আমেরিকা।

chardike-ad

sweden১) সুইডেন: স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশটি নারীর অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রয়েছে একেবারেই ওপরে। সন্তান জন্ম দেবার পর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্যারেন্টাল লিভ বা ছুটি দেওয়া হয় এই দেশটিতে। বাবা-মায়ের জন্য ৪৮০ দিন ছুটির নিয়ম আছে যা তারা ভাগাভাগি করে নিতে পারে। গর্ভবতী নারীরা বিনামূল্যে এবং স্বল্পমুল্যে চিকিৎসা পান এখানে। প্রচুর ডে-কেয়ার সেন্টার আছে যেখানে নারীপুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয় ছোটকাল থেকেই। এই দেশের মন্ত্রীদের মাঝেও অর্ধেকই নারী।

denmark২) ডেনমার্ক: সারা পৃথিবীতেই দেখা যায় শিক্ষা, আর্থিক অবস্থা, স্বাস্থ্য- এসব ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের মাঝে অনেক বৈষম্য। ডেনমার্কে তা নেই বললেই চলে। আর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মাঝে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর ছুটির ব্যবস্থা এখানে খুবই ভালো।

norway৩) নরওয়ে: নরওয়েতে নারীরা ৩৫ সপ্তাহ ম্যাটারনিটি লিভ পান, তাও পুরো বেতনের সাথে। আর ৪৫ সপ্তাহ ছুটি পান ৮০ শতাংশ বেতনের সাথে। আর বিশ্বের সব দেশের মাঝে নারীপুরুষের সমতার ক্ষেত্রে অনেক ওপরে রয়েছে দেশটি।

netharland৪) নেদারল্যান্ডস: বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ প্রায় সমান করে এনেছে দেশটি। এর পাশাপাশি এখানে নারীরা সন্তান জন্ম দেবার পর একজন করে সেবিকা পায়, যার খরচ পুরোটা বা আংশিক দেওয়া হয় তাদের বীমা থেকে।

canada৫) কানাডা: নারীর নিরাপত্তা প্রদান এই দেশটির স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এই দেশে সব নারীর নিরাপত্তা এক রকম নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আদিবাসী নারীদের খুনের হার অন্যান্যদের চাইতে বেশি হতে দেখা যায়।

frenland৬) ফিনল্যান্ড: সারা পৃথিবীর মাঝে নারীকে ভোটের সুযোগ দেওয়া প্রথম রাষ্ট্র হলো ফিনল্যান্ড। ইন্টারন্যাশনাল জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রাইজটার প্রচলনও তারাই করে। আর এই বছরে সেদেশের সব স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয় “উই শুড অল বি ফেমিনিস্টস” বইটি।

swizerland৭) সুইজারল্যান্ড: ২০১৭ সালে সবদিক বিবেচনা করে জীবনধারণের জন্য সেরা শহরের মর্যাদা পায় সুইজারল্যান্ড। এদেশে নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার ব্যাপারটাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। যদিও এদেশে নারীদের পূর্ণ ভোটের সুযোগ দেওয়া হয় মাত্র ১৯৭১ সালে।

australia৮) অস্ট্রেলিয়া: নারী ও পুরুষ উভয়েই খেলাধুলায় সমানভাবে অংশগ্রহণ করে এই দেশটিতে। আর উভয় লিঙ্গের জন্যই এদেশের গড় আয়ু অনেক বেশি।

austria৯) অস্ট্রিয়া: নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই সমানভাবে জীবনযাত্রার মান উন্নত বলে দেখা যায় এই দেশটিতে।

newzealand১০) নিউজিল্যান্ড: আপনি নারী হন বা পুরুষ, এই দেশটিতে থাকলে আপনার নিরাপত্তা ও শান্তির অভাব হবে না। ১৯৮০ সাল থেকে নিউক্লিয়ার-ফ্রি জোন এই দেশটি।

সূত্র: ওম্যান’স ডে