চীনা সেনাবাহিনীর অন্তত ৫০ সদস্য ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের বারোহাতি এলাকায় অনুপ্রবেশ করে সেখানকার লোকজনকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি। সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলছে, বারোহাতিতে অনুপ্রবেশের পর প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেছিল চীনা সৈন্যরা। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল বেইজিং সফরের দু’দিন আগে ২৫ জুলাই সকাল ৯ টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতের অংশে ৮০০ মিটার থেকে এক কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়েছিল চীনের সৈন্যরা। সেখানকার লোকজনকে গবাদি পশুসহ ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে তারা। গত বছর একই সময়ে চীনা সৈন্যরা ওই এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিল।
১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধের পর থেকেই সিকিম সীমান্তে বিরোধ চলে আসছে। চীনের দাবি, ভারতীয় সেনারা চলতি বছরের জুনে সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের অংশে ঢুকে পড়েছিল। সেকারণে বাধ্য হয়ে দোকলাম এলাকায় চীনা সেনারা রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
তবে ভুটানের দাবি, দোকলাম তাদের ক্ষুদ্র ভূখণ্ডেরই অংশ। ভুটানের মিত্র দেশ ভারত। সেখানে রাস্তা নির্মাণ ঠেকাতে আগে থেকেই সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে দেশটি।
চীনা সৈন্যরা অনুপ্রবেশের দু’দিন পর বেইজিং সফরে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এ সময় দু’দেশের মধ্যকার চলমান সংকটের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সূত্র : এনডিটিভি।