Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

nikiউত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় শেষ বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও সর্বশেষ আইসিবিএম উৎক্ষেপণের পর রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ মন্তব্য করেন নিকি। খবর এএফপির।

শুক্রবার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ক্ষমতা তাদের আছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় দেখা গেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্র তাদের হামলার পরিসীমার মধ্যেই রয়েছে।

chardike-ad

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ নেতাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানো হবে। এমনকি উত্তর কোরিয়া থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে তা নিউইয়র্ক শহরে বিস্ফোরণ ঘটনোর ক্ষমতাও তারা রাখেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এটা বড় ধরনের হুমকি।

এর জবাবে শনিবার মার্কিন বোমারু বিমান কোরীয় দ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে এবং রোববার মার্কিন বাহিনী সফলভাবেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কিমের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র এবং পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে দেশটিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও বারবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার মার্কিন সিনেটে পিয়ংইয়ং-এর প্রতি দ্বিপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি পাস হয়।

পিয়ংইয়ংকে চাপে ফেলতে চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নিকি হ্যালি। তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষ্যাপাটে শাসককে পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে যে, আন্তর্জাতিক মহল অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে চ্যালেঞ্জ করতে বাধ্য হচ্ছে।

চীন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটিতে স্বতস্ফূর্তভাবে পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী কি না সে ব্যাপারেও জানতে হবে। কারণ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলার মতো সময় শেষ হয়ে গেছে।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, চীন সহযোগিতা না করলে যুক্তরাষ্ট্র একাই উত্তর কোরিয়াকে মোকাবেলা করবে।