আমাদের কাছে জাপান সূর্যোদয়ের দেশ বলেই পরিচিত। তবে বিশ্ব জাপানকে তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বলেই চেনে। বিশ্ব অর্থনীতিতে জাপানের অবস্থান তৃতীয়। প্রতি বছর একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন জাপান। জাপানের গ্লোবাল ৩০ ভিশন অনুযায়ী, জাপান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৩ লাখ আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রী নেবে। পড়াশোনার পাশাপাশি ইনস্টিটিউটগুলোর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় মিলছে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ। নিজের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে দেশে টাকা পাটাচ্ছেন অনেকে।
এই চলমান জাপানের পরিস্থিতি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। জাপানে পড়াশোনা ও চাকরির বিষয়ে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশে ২০১৩ সাল থেকে কাজ করছে ড্যাফোডিল জাপান আইটি নামের প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৩ সাল থেকে বিবিপি জাপান এবং ড্যাফোডিল গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করেছে।
আইটি, সিএসসি, ইলেকট্রিক্যাল ও অন্য ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর চাহিদা থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানটি জাভা, পিএইচপি, অ্যান্ড্রয়েড, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্সে ট্রেনিং দিচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের ইঞ্জিনিয়াররা হয়ে উঠছেন আন্তর্জাতিক মানের। তাদের ট্রেনিং শেষে ড্যাফোডিল জাপান আইটি আয়োজন করছে বিভিন্ন জাপানিস কোম্পানির জন্য ইন্টারভিউ সেশন। তাদের এ ট্রেনিং সেশন থেকে ট্রেনিং নিয়ে অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছেন জাপানের বড় বড় কোম্পানিতে।
ড্যাফোডিল জাপান আইটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরু অকাযাকি জানান, তাদের এজেন্সি থেকে আইটি কোর্স করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন জাপানে। এছাড়া যেসব জাপানিজ কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে সেসব কোম্পানিতেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ও ৩১ জুলাই ২০১৭, সময় বিকাল ৪টা, সেমিনারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। সেমিনারে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন। অথবা সরাসরি djit.ac/japan_reg এই ঠিকানা ভিজিট করুন। সৌজন্যে: ইত্তেফাক