Search
Close this search box.
Search
Close this search box.
laptop
প্রতীকী ছবি

এই ক্যুইজ জিতলেই ৫ কোটি টাকা জিতবেন! আর সেটা পৌঁছে যাবে ব্যাংক অক্যাকাউন্টে। এমনই একটি মেসেজ পেয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর এক কৃষিবিজ্ঞানী। টাকার অঙ্কটা দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। নাম এন্ট্রি করে দেন অনলাইন ক্যুইজটি খেলার জন্য। নাম এন্ট্রি করার ঠিক পর দিন একটা ফোন আসে বিজ্ঞানীর মোবাইলে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এক পুরুষ কণ্ঠ ভেসে আসে। নিজেকে ইংল্যান্ডের একটি তেল সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। সেই সঙ্গে জানান, তাঁদের এই সংস্থাটিই অনলাইন ক্যুইজের আয়োজন করেছে। জিতলে নিজেই বাড়ি বয়ে ৫ কোটি টাকা দিয়ে যাবেন। খপ করে টোপটাও গিলে ফেলেছিলেন বিজ্ঞানী।

ঘটনার মোড় এখান থেকেই শুরু। এর পর ওই ব্যক্তি ফের বিজ্ঞানীকে ফোন করে জানান, ক্যুইজটি খেলার জন্য তাকে এন্ট্রি ফি দিতে হবে। তবে কোনো আইনি জটিলতায় যাতে পড়তে না হয় এমনভাবেই টাকাটা পাঠাতে বলেন ওই ব্যক্তি। তখনো বোধোদয় হয়নি বিজ্ঞানীর, কী ঘটতে চলেছে তার সঙ্গে! তিনি যে জোচ্চোরদের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। ওই ব্যক্তির কথামতো বিজ্ঞানী তার একটা বিশাল অঙ্কের টাকা অনলাইনে পাঠান। এ ভাবে পর পর কয়েকবার টাকা পাঠাতে বলা হয়। আর বিজ্ঞানী তাঁর সমস্ত সেভিংস এবং জীবনবিমা থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা পাঠান। এর মধ্যেই ওই বিজ্ঞানী মারা যান। সাল ২০১৪।

chardike-ad

বিজ্ঞানী মারা যাওয়ার পর ফের ফোন আসে। তখন তার স্ত্রী ফোন ধরলে তাকে জানানো হয় তার স্বামী লটারিটি জিতেছে। তিনি তার পক্ষ থেকে সেই টাকাটা দাবি করতে পারেন।

বিজ্ঞানীর স্ত্রী পুলিশকে জানান, ফোনের অপর প্রান্তে যে ব্যক্তি ছিলেন, তিনি নিজেকে হাওয়ার্ড জেরি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। এবং তার ঠিকানা দিল্লিতে। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যক্তির ফাঁদে ঠিক একইভাবে পা দেন বিজ্ঞানীর স্ত্রী। তিনিও জীবনের শেষ সঞ্চয়টুকু তুলে দেন জোচ্চোরদের হাতে।

সব সঞ্চয়, সম্বল দেয়ার পরও যখন ৫ কোটির দেখা মিলছে না বিজ্ঞানীর স্ত্রী বুঝতে পারেন জীবনের সবচেয়ে ‘বড় ভুল’ তিনি করে ফেলেছেন। যেটা আগেই করেছেন তার স্বামী! অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন বিজ্ঞানীর স্ত্রী। পুরো ঘটনাটি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশকে তিনি জানান, জোচ্চোরদের খপ্পরে পড়ে ১ কোটি ৩০ লক্ষ রুপি খুইয়েছেন। বেঙ্গালুরু পুলিশ গত ১১ জুলাই সাইবার ক্রাইমের অধীনে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।