কাতারে নির্মাণ কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন উত্তর কোরিয়ার সেনারা। দেশটিতে সেনা ছাড়াও কয়েক হাজার মানুষ নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে দোহা।
কাতারে কাজ করে উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ উপলক্ষে স্টেডিয়াম, হাসপাতাল, বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু স্থাপনা তৈরির প্রকল্প নিয়েছে কাতার। কাতারে নির্মাণকাজ করছেন উত্তর কোরিয়ার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক।
উত্তর কোরিয়া থেকে যেসব শ্রমিকদের কাতারে পাঠানো হচ্ছে তাদের মধ্যে দেশটির সেনা সদস্যরাও রয়েছেন। পিয়ংইয়ংয়ের সেনাবাহিনীর জন্য অর্থ উপার্জন করতেই তাদের কাতারে পাঠানো হচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা কাতারে কাজের জন্য যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই বহু দেশের শ্রমিকরা কাতারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজও করছেন। এর মধ্যে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবেই বেশি মানুষ দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনাল উপলক্ষে কাতারের লুসাইল শহরে শ্রমিকদের কাজের সুযোগ দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করছে দোহা।
উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা তাদের দেশের স্থানীয় নির্মাণ কোম্পানীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এসব কোম্পানিই তাদের কাতারে কাজের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সুডো কন্সট্রাকশন, গানমিয়াং কন্সট্রাকশন, ন্যামগ্যাং কন্সট্রাকশন এবং গেনকো এ ধরনেরই কয়েকটি কোম্পানি। তারা নিজেদের দেশের নির্মাণ শ্রমিকদের কাজের জন্য কাতারে পাঠাচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ড কাপ উপলক্ষে শ্রমিক নেয়ার ঘটনায় দোহা এবং পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে। তবে উত্তর কোরিয়ার যেসব শ্রমিক বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করছেন তারা দেশে ফেরার পর পারিশ্রমিকের মাত্র ১০ ভাগ পান। আবার অনেকে তো কোনো পারিশ্রমিকই পান না। দোহায় কাজ করছেন এমন একজন নির্মাণ শ্রমিক বলেন, আমরা আমাদের দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি।
দোহার কাফালা শ্রমিক পদ্ধতির কারণে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা তাদের দেশের কোম্পানি এবং কাতারের কাছে এক প্রকার ক্রীতদাশ হিসেবে কাজ করছেন।