টানা বৃষ্টিপাতে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় কক্সবাজারে এক পরিবারের দুই শিশুসহ মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা্য় আহত হয়েছেন অন্তত আরও পাঁচজন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকা এবং রামু উপজেলার মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কক্সবাজার শহর ও রামু উপজেলায় হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে। ভারি বৃষ্টির কারণেই পাহাড়ধসের এসব ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক বলেন, কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকার পাহাড়ধসে ঘটনাস্থলে মারা যান শাহেদ। এখানে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সাদ্দাম নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। চিকিৎসাধীন অন্য দুজন হলেন উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও নিহত সাদ্দামের বড় ভাই আরফাত হোসেনকে (৩০)।
রামুর চেইন্দা এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় একই পরিবারের সায়মা (৫) ও জিহান (৭) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মাটিচাপা পড়া অবস্থায় তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনার কলি-কে (২৯) জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত দম্পতিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনায় সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের খামারপাড়ার নূরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (১৮) ও পিএমখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকার এরশাদ উল্লাহর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮) এর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টিপাত সম্পর্কে কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সোমবার দুপুর থেকে কক্সবাজারে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিরাম ধারায় শুরু হয়। সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গল ও বুধবার আরও বৃষ্টির মধ্যে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।