তারকা দম্পতি তাহসান-মিথিলার ডিভোর্স হয়ে গেছে গেল মে মাসে। প্রায় দুই বছর ধরেই আলাদা ছিলেন তাহসান-মিথিলা দুজনেই। আলাদা থেকে তারা নিজেদের মধ্যকার সমস্যাগুলো মিটমাটের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোঝাপড়া না হওয়ায় চূড়ান্ত বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাহসান-মিথিলা। এই বছরের মে মাসে তাহসান-মিথিলার প্রায় ১১ বছরের সংসারের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়েছে।
মিথিলা জানান, এ ঘটনাটি সবাইকে জানানোর জন্য আমরা দুজনই আরেকটু সময় নিতে চেয়েছিলাম। কারণ, এত বড় কষ্টের খবর সবাইকে জানানোর মতো মানসিক প্রস্তুতি আমাদের ছিল না।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, একটি ইস্যু নিয়ে তো আর কখনও বিচ্ছেদ হয় না। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন মেয়ের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়াটা এত সহজ নয়। কিন্তু একটা সময় আমাকে মেনে নিতে হয়েছে এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, জীবনচলার পথের একটা সময় এসে আমরা বুঝতে পারলাম, দুজন মানুষ যার যার জায়গা থেকে দুই ধরনের জিনিস চাই। তাহসানের জীবনের লক্ষ্য হয়ত একরকম, আমার হয়ত আরেক রকম। তবু দুজন ভিন্ন রকম মানুষ তো একসঙ্গে থাকে। আমরাও থেকেছি। শেষ পর্যন্ত আর হলো না। আমাদের যখন বিয়ে হয়, তখন আমাদের দুজনের বয়সই অনেক কম ছিল।
যোগ করে মিথিলা বলেন, আমাদের ক্যারিয়ারও একসঙ্গে গড়ে উঠেছে। এমন না যে, কেউ কারও আগে বা পরে এসেছি। সেসব দিক থেকে আমাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা ছিল না। কিন্তু একটা সময় এসে মনে হচ্ছিল, ১১ বছর আগের একজন মানুষ আর পরের একজন এক থাকে না। অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। তাই বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন মেধাবী ছাত্র তাহসান। সে সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়। এরপর তাহসানের মনের ঘরে বাঁধা পড়েন মিথিলা। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট এক সুতোয় বাঁধা পড়ে তাহসান-মিথিলার জীবন। তাহসান-মিথিলার ঘরে রয়েছে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। মেয়েটি এখন মিথিলার কাছেই আছে।