২০০১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে উত্তর কোরিয়া। এ সংকটে বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক মৌসুমের কারণে দেশটিতে শস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে খাদ্য সংকট মেটাতে এখন অবিলম্বে খাবার আমদানি করা প্রয়োজন। খাদ্য সংকটে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে আছে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা। এর আগে ১৯৯০ এর দশকে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার উত্তর কোরিয় নাগরিক মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন বলেছে, সম্প্রতি কয়েকবছরে দেশে খাদ্য সাহায্য নাটকীয়ভাবে কমে যাওয়ায় খরা আরও মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য শাস্তিস্বরূপ দেশটিতে নিষেধাজ্ঞা খাদ্য সাহায্য কমার একটি কারণ। তার ওপর কয়েকমাস ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি না হওয়ায় চাল, ভুট্টা, আলু এবং সয়াবিনের মত শস্য উৎপাদন কমে গেছে।
শস্য উৎপাদনের মূল জায়গাগুলোতে এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হয়েছে। আর এ শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে কৃষিকাজের প্রথমধাপই সমস্যাসঙ্কুল কেটেছে। ফলে শস্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আগের বছরের তুলনায় এ বছরে ৩০ শতাংশ শস্য উৎপাদন কম হয়েছে বলে এক পরিসংখ্যানে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংগঠন (এফএও)।