Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

fire-cutশনিবার দুপুর দুইটা। চুল কাটাতে ঢুকলাম নগরীর জনপ্রিয় জেন্টস পার্লার ও স্যালুন অ্যাডোনিসে। অ্যাডোনিসে ঢুকতেই চোখ উঠে গেল কপালে। ২২ বছর বয়সী এক তরুণের মাথায় দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। আর সেই আগুনের মধ্যে চিরুণী আর কাঁচি দিয়ে সুনিপুনভাবে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন হেয়ার এক্সপার্ট ও অ্যাডোনিসের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন। ব্যাপারটা দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও পরে জানলাম এটিই চুলের স্টাইল ও চুল সেটিং করার নতুন পদ্ধতি। নতুন এই হেয়ার স্টাইলের নাম ‘ফায়ার কাট’।

চুলকে নিয়ে ছেলেদের চুলচেরা বিশ্লেষণের শেষ নেই। ছেলেদের সাজগোজ আর স্টাইলের শেষ কথা চুলের সেটিং বা কাটটা সময় উপযোগী হয়েছেতো? এজন্য বছরজুড়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় চুলের স্টাইল ট্রেন্ড। বিশ্বব্যাপী ফায়ার কাটের ব্যাপক জনপ্রিয়তাই বলে দিচ্ছে ফায়ার কাটের চল কতোটা। ইতোমধ্যেই অ্যাডোনিসের এই ফায়ারকাট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বলা ভালো যে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফায়ারকাট এনেছে অ্যাডোনিসই।

chardike-ad

চুলের কাট সম্পর্কে হেয়ার এক্সপার্ট ও অ্যাডোনিসের কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জানান, ‘চুল এবং নিজের ত্বকের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। আমরা সবসময়ই ইয়াং জেনারেশনকে নতুন এবং আপডেট কিছু দেয়ার চেষ্টা করি। সেই জায়গা থেকেই আমরা মূলত এবার চুলের কাটিং পাশাপাশি সেটিংটাকেও গুরুত্ব দিয়েছি।’

ফায়ার কাট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই কাটটি মূলত পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই ব্যাপক জনপ্রিয়। ফায়ারকাট চুলের স্টাইলের জগতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আপনারা হয়তো বাইরের দেশের অনেক ভিডিও দেখেছেন। ঠিক সেভাবেই আমরা এই কাটটা বাংলাদেশে এনেছি। আমাদের অভিজ্ঞ কাটিং মাস্টাররা তাদের সুনিপূন হাতে ফায়ার কাটটি দিয়ে থাকেন।’

ফায়ার কাটের নানাদিক এবং সুবিধার বিষয়ে হোসেন আরো বলেন, ‘অনেকেই ঘাবড়ে যান চুলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে কোন সমস্যা হবে নাকি। তবে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি সে ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটার কোন আশঙ্কা নেই। আমাদের এক্সপার্টরা অত্যন্ত অভিজ্ঞ। এই কাটিংয়ের ফলে যাদের চুল বসা কিংবা যাদের চুল অত্যন্ত সিল্কি তারা চাইলেই ইচ্ছে মতো স্টাইল করতে পারবেন। ফায়ারকাটে চুলটা ফিনিশিং দিলে সহজেই ফেদ কাট, আন্ডার কার্ট, পাসপোড় কাট, স্পাইক কাট এবং স্লাইস কাট দেয়া সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘চুলে ফায়ারকাট করালে বসে যাওয়া চুল খাড়া খাড়া হয়ে যায়। চুল ভলিউম বা কিছুটা বাউন্সি হয়। এর কোন সাইড ইফেক্ট নেই। পর্যাপ্ত মেডিসিন দিয়েই চুলে আগুন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেকেই এই কাটটি করাচ্ছেন। আমি মনে করছি অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের ফায়ার কাট ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে।’ যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ