Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

cowবর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর অশেষ চেষ্টায়ও বন্ধ হয়নি দুই দেশের সীমান্তের চোরাচালান। গরু থেকে শুরু করে জাল নোট, সবই পাচার হচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুসারে দুই দেশের সীমান্তে অবৈধ বাণিজ্যের পরিমান বছরে প্রায় ৫০০০ কোটি রুপির বেশি। আর এই বিপুল অংকের অবৈধ বাণিজ্যের অন্যতম ‘পণ্য’ হচ্ছে গরু।

chardike-ad

দ্য সিলং টাইমস ডটকমের খবর বলা হয়েছে, ভারত থেকে পাচার হওয়া গরু কেবল বাংলাদেশে মাংসের চাহিদাই পূরণ করে না বরং বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের কাঁচামালেরও বড় যোগান দেয়।

ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হলেও চোরা চালানকারীরা থেমে নেই। দীর্ঘ সুড়ঙ্গ পথে কিংবা নদীতে ভাসিয়ে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে ভারতীয় গরু।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই দেশে গরুর দামে বিস্তর তফাত থাকার কারণেই পাচার বন্ধ হচ্ছে না।

হিন্দুস্থান টাইমসের খবর অনুসারে, ভারতে যে গরু মাত্র ৫০০০ রুপিতে বিক্রি হয় বর্ডার অতিক্রম করেই বাংলাদেশে সেই গরুর দাম দাঁড়ায় ৫০,০০০ রুপির বেশি।

দামের এতো তফাত হওয়ার অন্যতম কারণ ‘ঝুঁকি’। বর্ডারে কড়াকড়ি থাকায় গরু পাচারে নানান পন্থা বেছে নিয়েছে পাচারকারীরা। সেইসব পন্থার কারণে পাচারকালে মারা যাচ্ছে অনেক গরু। কিন্তু বাংলাদেশের গরু ব্যবসায়ীরা আগেই সব গরুর দাম পরিশোধ করে দেন। এই অবস্থায় মারা যাওয়া গরুর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাড়ছে দাম।

এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এ বিষয়ে বিজিবির আঞ্চলিক কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, আসলে এটা (গবাদি পশুর চোরাচালান) আমাদের অর্থনীতির ক্ষতি করছে। গবাদিপশু যদি ভারত থেকে না আসতে পারে তাহলে আমাদের কৃষকরা স্বাবলম্বী হবেন এবং আমরা নিজেদের দেখাশোনা করতে পারবো।

তিনি বলেন, চোরাচালান ঠেকানোর জন্য আমরা বিএসএফকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মাধ্যমে আরও অন্যান্য অনেক বিষয়ের সমাধান হতে পারে।