Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত জেজু আইল্যান্ডে আগামীকাল শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় মিলনমেলা। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া (বিএসএকে) আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী ১৩ তম এই মিলনমেলায় প্রায় দুইশ’ জন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক এবং অতিথি যোগ দিবেন।  প্রথমবারের মত জেজুতে অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।

জেজু দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করবেন বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা

কোরিয়ায় আসা নতুন ছাত্রছাত্রীরা এই মিলনমেলার মাধ্যমে সবার সাথে পরিচয় হওয়ার সুযোগ পায় এবং যারা পিএইচডি, মাস্টার্স কিংবা গ্রাজুয়েশন শেষ করে দেশে ফিরে যাবেন তারা পান অনুজদের কাছ থেকে ডিগ্রী প্রাপ্তির স্বীকৃতি।

chardike-ad

জেজুর আরবোন ইয়োথ হোস্টেলে শনিবার মিলনমেলা শুরু হয়ে সোমবার সকালে শেষ হবে। প্রতিবারের মত এবারও মিলনমেলায় নবীনবরণ, ডিগ্রীপ্রাপ্তদের বিদায় সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খেলাধুলা ব্যবস্থা থাকছে। মিলনমেলার প্রথমদিন দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চশিক্ষাকে কিভাবে বাংলাদেশে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে থাকবে একটি ব্যতিক্রমধর্মী বিশেষ সেমিনার। রবিবারে থাকছে বারবিকিউ’র বিশেষ আয়োজন। এসব অনুষ্ঠান ছাড়াও এবারের মিলনমেলার অন্যতম আকর্ষণ জেজু ট্যুর। প্রাকৃতিক সৌন্দ্যর্য্যের জন্য সারা পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি পাওয়া জেজুর জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে নিয়ে যাওয়া হবে। মিলনমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান। তিনি ছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন কোরিয়া (বিসিকে) সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ যোগ দিবেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের পারষ্পরিক সাহায্য সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (বিএসএকে) গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে আসছে সংগঠনটি। এছাড়া প্রতিবছর দুই সেমিস্টারে দুইবার মিলনমেলারও আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।