বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার হাট বাজারের একটি বাস্তব চিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুড়ে অস্হায়ী সাপ্তাহিক বাংলা বাজারগুলো। সপ্তাহ জুড়ে যে সমস্ত শ্রমিকরা বাগানে, ঠিকানদারের সাথে বা কোম্পানীতে অল্প বেতনে চাকুরী করেন বিশেষ করে তারাই বিশেষ কোন ছুটির দিন বা শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার (আসরের নামাজের পর) পর থেকে বা ছুটির দিনের সকাল থেকে লেবারক্যাম্পের আশে পাশের এলাকা জুড়ে রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধভাবে বসেন দোকানীরা বিভিন্ন পসরা নিয়ে।
ক্রেতা বিক্রেতা অধিকাংশ বাংলাদেশি হলেও ইনডিয়ান, পাকিস্তানি, আরবিসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরাও এ সমস্ত বাজারে কিনতে আসেন প্রচুর। লক্ষ্য একটা্ই কম দামে কেনাকাটা করা।
এসব অস্হায়ী দোকানের ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ না থাকায় সুপার মার্কেট ও স্থানীয় দোকান থেকে অনেকটা সস্তায় মেলে এখানকার বিভিন্ন মালামাল। দোকানদারদের ফায়দাও হয় অনেক।
প্রথম প্রথম স্থানীয় প্রশাসন এই সাপ্তাহিক বাজারের বিরুদ্ধে থাকলেও এখন তেমন একটা কড়াকড়ি করে না। তবে অনেক সময় স্হানীয় প্রশাসন বা পুলিশ এসে জিনিষপত্রসহ এসব অবৈধ ও অস্হায়ী দোকানদারদের ধরে নিয়ে যায়।
সাপ্তাহিক এ্ই বাজারে কাঁচা শাক সবজি, ফল মূল, মাছ মাংস, কাপড় ছোপড়, চাল ডাল, মরিচ মসল্লা, আমিরাতের অন্য কোখাও যাহা সহজে মেলেনা এমন জীবিত হাঁস মুরগীও এখানে অতি সহজে পাওয়া যায়। দেশের ঐতিহ্যবাহী ঝাল মুড়ি, চটপটি, সিদ্ধ ডিম, খোলা আকাশের নিচে নানা ধরনের বিরানী, ফেরীকরা চা সহ সব কিছুই আছে এই বাজারে। সন্ধ্যার পর জমজমাট হয়ে উঠে এ বাজার।
আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে দুষ্ট প্রকৃতির কিছু লোক এসব বাজারে বসায় জুয়ার আসর। অনেক সময় জুয়ার টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে চলে হাতাহাতি আর মারামারি। ফলে প্রশাসনের ধর পাকড় এবং জেল জরিমানা। আর প্রবাসে নষ্ট হয় দেশের ভাবমূর্তী।