খুন ও মাদক চোরাচালানের দায়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একদিনে ছয় অভিযুক্তের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার রিয়াদে ওই ছয়জনের শিরশ্ছেদ করা হয়, যা চলতি বছর দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শিরশ্ছেদের ঘটনা।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সৌদিতে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মাদক চোরাচালানে অভিযুক্ত এক পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া অপর পাঁচজন সৌদি নাগরিক; যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত।
বিশ্বে সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সৌদি আরবে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, খুন, ধর্ষণ, সশস্ত্র ডাকাতি এবং মাদক পাচারের অপরাধের জন্য দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজার বিধান আছে। ২০১৪ সালে সৌদি আরবে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৫৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছর দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার সামান্য কমেছে; ওই বছর বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ১৫৩ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়।
গত মাসে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘রিপ্রাইভ’ এক প্রতিবেদনে বলেছে, সৌদি আরবে চলতি বছর শিরশ্ছেদ করা অভিযুক্তদের মধ্যে ৪১ শতাংশ রাজনৈতিক প্রতিবাদের মতো অহিংস কাজে জড়িত ছিলেন।
অভিবাসী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মাদক চোরাচালানের অভিযোগ এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে ব্রিটিশ এই মানবাধিকার সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
রিপ্রাইভের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবে সর্বোচ্চ সাজাপ্রাপ্তদের ২৩ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক; যারা মাদক চোরাচালানে অভিযুক্ত।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের পর বেশ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখে রিয়াদের সুপ্রিম কোর্ট। এই সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রতিবাদকারী মুনির আদম। অহিংস অপরাধের সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজা কার্যকর না করতে সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।