আজ সকালে শুরু হওয়া জাতীয় দলের ফিটনেস ক্যাম্পে ২৩ জনের যোগদানের কথা। কিন্তু শেরেবাংলায় গুণে দেখা গেল সংখ্যাটা ২৩ নয়; ২২। একজন কম। তিনি কে?
রুবেল হোসেন। এই পেসার সোমবার প্রথম দিন অনুশীলনে যোগ দেননি। সশরীরে এসে রিপোর্টও করেননি। জানা গেছে গতকাল রাতে ফোন করে প্রথম দিন প্র্যাকটিসে আসতে না পারার কথা জানিয়েছেন এ দ্রুত গতির বোলার। কেন কি হয়েছে তার?
পেস বোলারের ইনজুরির কথা শুনে নিশ্চয়ই ভাবছেন, কাঁধের ইনজুুরি। কিংবা পিঠে ব্যথা, সাইড স্ট্রেইন বা গোড়ালি- হাঁটুতে চোট। নাহ, ওসব কিছু না। এমনকি গ্রোয়েন (কুঁচকিতে টান) কিংবা মাসল ক্র্যাম্পও নয়। পেসার রুবেল একটা অন্যরকম ইনজুরির শিকার।
শুধু ইনজুরিতে পড়াই নয়। একটা অস্ত্রোপচারও হয়েছে তার। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আঘাতের কারণে রুবেলকে অপারেশন টেবিলে যেতে হয়েছে, সেটা আসলে কোন ক্রিকেটীয় ইনজুরি নয়। তার চোখ ও কানের মাঝামাঝি জায়গায় চোট পেয়েছেন মাঠের বাইরে।
জানা গেছে ভারতের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল শেষে হোটেলে বাঁ চোয়ালের ওপরে আঘাত পান রুবেল। বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার সাব্বির খান জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল শেষে হোটেল রুমে ঢুকতে কিংবা বেরিয়ে যাওয়ার সময় দরজা গিয়ে তার কান ও চোখের মাঝখানের জায়গায় গিয়ে আঘাত হানে। আর তাতেই তার কান ও চোখের মাঝখানের হার ফেটে গেছে।
জানা গেছে রুবেলের রুমমেট তাসকিন দরজা ভেড়াতে কিংবা খুলতে গেলেই অসতর্ক রুবেল দরজায় আঘাত পান। প্রাথমিক অবস্থায় রুবেল সে আঘাতের কথা অধিনায়ক, ম্যানেজার, ফিজিও কিংবা ট্রেনার কাউকেই জানাননি। দেশের উদ্দেশে বিমানে বসার পর নাকি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন।
তারপর দেশে ফিরে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরীকে ব্যথার কথা জানালে তিনি রুবেলকে এক্সরে করতে বলেন। এক্সরেতে ধরা পড়ে তার কান ও চোখের মাঝখানের হার ফেটে গেছে। যা সাড়াতে অপারেশন জরুরি। চিকিৎসকরা আঘাত পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে অপারেশন জরুরি বলে জানান। শেষ পর্যন্ত মিরপুরের ডেল্টা হাসপাতালে তার অপারেশন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব অপারেশনের ধকল কাটাতে দেড় মাসের মতো লাগে। তারপরও ইনজুরিটা এমন এক জায়গায়, যা তার বোলিংয়ের পথে সরাসরি বাঁধা নয়। কাজেই ভাবা হচ্ছে, রুবেল হয়তো অস্ট্রেলিয়ার সাথে টেস্ট সিরিজ (প্রথম টেস্ট- ২৮ আগস্ট) শুরুর আগেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।