রাশিয়া জাতিসংঘকে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি যে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম ছিল না বরং সেটি ছিল একটি মধ্যম-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। রোববার মস্কোর পক্ষ থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, রাশিয়ার ইরকুতস্ক অঞ্চলে মোতায়েন একটি রাডার স্টেশন উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে নিক্ষিপ্ত হুয়াসং-১৪ ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর নিক্ষেপের স্থান থেকে ৫১০ কিলোমিটার দূরে জাপান সাগরে পড়ে। এ কাজে ক্ষেপণাস্ত্রটি সময় নিয়েছে ১৪ মিনিট।
রাশিয়ার চিঠিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ ও এর গতিপথ সম্পর্কিত একটি ছবিও সংযুক্ত করা হয়।
রাশিয়া এমন সময় এ তথ্য জানাল যখন গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো সফল আইসিবিএম পরীক্ষা চালানোর দাবি করে। দেশটি জানায়, হুয়াসং-১৪ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ২,৮০২ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠার পর জাপান সাগরে অবস্থিত নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের স্থান থেকে ৯৩৩ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সময় ব্যয় হয় ৩৯ মিনিট। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিশ্বের যেকোনো স্থানে হামলা চালানো যাবে।
ওয়াশিংটন সাধারণত উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তিকে হাল্কাভাবে নিলেও এবারের আইসিবিএম পরীক্ষার সত্যতা নিশ্চিত করে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আইসিবিএম পরীক্ষার কথা স্বীকার করে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আনুমানিক ৫,৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে। মার্কিন ভাষ্য অনুযায়ী এটি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে সক্ষম।