Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

usa-chinaউত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য চীনের সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর সমালোচনা করে ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের সঙ্গে চীনের কাজ করার জন্য তা যথেষ্ট হয়েছে।’

এ ঘটনায় চীন ও রাশিয়া উভয় পক্ষকেই তাদের সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন বন্ধ করতে বলেছে। এই দুটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ওপর সামরিক শক্তি প্রয়োগের যেকোনো চেষ্টার বিরুদ্ধে তারা।

chardike-ad

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ‘জাতিসংঘের উদ্ধৃতি দিয়ে কোনো শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা অগ্রহণযোগ্য, এতে রাশিয়া ও চীনের সীমান্ত অঞ্চল অনিশ্চিত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে।’ সের্গেই লাভরভ বলেন, উত্তর কোরিয়াকে আর্থিকভাবে শ্বাসরোধ করাটাও গ্রহণযোগ্য নয়।

সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার বরখেলাপ। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক আহ্বান করেছে। বুধবার ১৫ সদস্যের রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কথা।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প। এরপর চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ‘অভূতপূর্ব উন্নয়ন’-এর কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বাণিজ্যের তথ্য অনুযায়ী, চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্য বেড়েছে।

বর্তমানে পোল্যান্ড ও জার্মানির পথে আছেন ট্রাম্প। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আবার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বড় ধরনের সামরিক মহড়া বন্ধের পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত দুই দেশ। সি চিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার সাক্ষাতের পর বলেন, দুই পক্ষেরই আলোচনা শুরু করা উচিত।

এর বিরোধিতা করে জাপান বলেছে, বারবার এ ধরনের উসকানি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে জানানো, আইসিবিএমটি অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। এটি বিশ্বের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে একটি বড় সাফল্য। ক্ষেপণাস্ত্রটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করা সম্ভব বলে মনে করেন কিছু বিশেষজ্ঞ। তথ্যসূত্র: বিবিসি