Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

Migrationঅবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা প্রায় ৯৩ হাজার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে ইউরোপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান বিভাগের ওয়েবসাইট ইউরোস্ট্যাটের হিসাব অনুযায়ী, গত আট বছরে এসব বাংলাদেশি ইইউ দেশগুলোতে পাড়ি দিয়েছেন যাদের অনেকে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন। অনেকে আবার রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন।

তাদের ফিরিয়ে না আনলে পরবর্তীতে বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ভিসা প্রাপ্তি কঠিন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাসেলসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া প্রস্তাব করতে যাচ্ছে ঢাকা। আগামী ১২ জুলাই বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার যৌথ কমিশনের বৈঠকে এ এসওপি প্রস্তাব করা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে।

chardike-ad

ব্রাসেলসে সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরতের আলোচনা ছাড়াও ডেভেলপমেন্ট, এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, আসেম-জোটসহ সার্বিক পরিস্থিতি আলোচনা হবে। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করা প্রায় ৯৩ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে জানিয়ে তাদের ফিরিয়ে নিতে সময়সীমা বেঁধে দিতে এ সংক্রান্ত একটি (এসওপি) প্রস্তাব করেছে ইইউ। ঢাকা মৌখিকভাবে পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বৈঠক করেছেন ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন।

আগামী ১২ তারিখে ঢাকা-ব্রাসেলস যৌথ কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই ঢাকার। ইইউ’র পাঠানো এসওপি নিয়েও ইতিবাচক অবস্থানে সরকার। তবে এর কিছু ধারা ও সময়সীমা বেঁধে দেয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে ঢাকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন এবং নীতিমালা অনুসরণ করেই বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে। তবে আগে এসব ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হতে যাচাই-বাছাই বা ভেরিফিকেশন করতে চায় ঢাকা। এ কাজে পর্যাপ্ত সময় চাওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সুষ্ঠু ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এ কাজে কোন সময়সীমা বেঁধে দেয়া উচিত হবে না। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এখনো অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা জানা যায়নি। আমরা মনে করি, প্রকৃত সংখ্যা এত বেশি নয়।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকও বলেন, ‘যে দেশেই অবৈধভাবে বাংলাদেশি বসবাস করুক না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ চাইলে বাংলাদেশ যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনবে।’