যুক্তরাজ্যে ইসলামি চরমপন্থিদের প্রধান অর্থ যোগানদাতা হচ্ছে সৌদি আরব। দ্য হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি নামের একটি সংস্থা তাদের নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দ্য হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি জানিয়েছে, যেসব ইসলামি সংস্থা, উগ্রবাদী ধর্মীয় নেতা ও জিহাদি গ্রুপগুলো বিদেশি অনুদান গ্রহণ করে তার সঙ্গে সুস্পষ্ট ও ক্রমবর্ধমান সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
বৈদিশিক সম্পর্ক গবেষণা বিষয়ক এই প্রতিষ্ঠানটি এ ব্যাপারে সৌদি আরব ও আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে গণতদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে ব্রিটেনের সৌদি আরব দূতাবাস এই দাবিকে ‘শ্রেণিভূক্ত মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছে।
যুক্তরাজ্যে সন্ত্রাসবাদে বিদেশি অর্থায়ন বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের বিনিময়ে ২০১৫ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সিরিয়ায় বোমা হামলার প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়েছিল লিবডেম। এ কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ওই তদন্তের নির্দেশ দেন। এক বছরের মধ্যে সেই তদন্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর জমা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এখনো সেই প্রতিবেদন তৈরি শেষ হয়নি এবং আদৌ এটি প্রকাশ করা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দ্য হেনরি জ্যাকসন সোসাইটি তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ১৯৬০ সাল থেকে ইসলামি বিশ্বে ওয়াহাবি ইসলাম প্রচারের জন্য সৌদি আরব লাখ লাখ ডলার খরচ করছে। এর মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ও রয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রাথমিকভাবে মসজিদ ও ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরণের অনুদান দেওয়া হতো, যা চরমপন্থি ধর্মীয় নেতাদের আপ্যায়নকেন্দ্রে পরিণত হয় এবং চরমপন্থি লেখালেখি ছড়িয়ে দেয়।’
প্রতিবেদনে চরমনপন্থায় অর্থায়নকারী দেশগুলোর তালিকায় ইরানকেও রাখা হয়েছে। ইরানও একইভাবে মসজিদ ও ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থায়ন করতো বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে।