৪০ বছর বয়সী মেয়ের সাথে প্রথম সাক্ষাতের এক সপ্তাহ পর এক ব্যক্তি ‘বাবা দিবস’ উদযাপন করতে যাচ্ছে। মেয়েটি কয়েক দশক ধরে বাবাকে খোঁজতেছিলেন।
মেয়ে জইল জাস্টমন্ড বলেছেন, তিনি তার মায়ের কাছ থেকে তার পিতা সম্পর্কে সীমিত তথ্য পেয়েছিলেন। তার মা বলেছিলেন যে, তার বাবার প্রথম নাম ছিল আল এবং তিনি ছিলেন একজন ইতালীয়। তিনি ১৯৭০ সালে নরিস নামক একটি মদের দোকানে কাজ করতেন।
এপ্রিল মাসে মেয়েটি পলিসেডস পার্কের ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট দেন তার বাবা সম্পর্কে, যেখানে ডেফুনেক্ট বার অবস্থিত। ফেসবুকের মাধ্যমে জাস্টমন্ডের সাথে ডেফুনেক্ট বারের সাবেক মালিকের পরিচয় হয়। ডেফুনেক্ট বারের সাবেক মালিক বলেন, ‘আমি তোমার বাবাকে চিনি’।
জাস্টামন্ড বলেন, ‘আমি জানতাম বাবাকে অনুসন্ধান করাটা পাগলামী তবুও আমার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই। আমি ঐ বারের মালিককে বলি, আপনি আল নামের কাউকে চেনেন কিনা যিনি ১৯৭৬ হতে ১৯৭৭ পর্যন্ত নরিস বারে কাজ করতেন’।
উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওহ, তুমি কি আল আনুনিজিয়া কথা বলছো? তারপর তিনি মেয়েটিকে তার বাবার ঠিকানা দেন।
বাবা আল আনুনিজিয়া ডব্লুসিবিএস টিভিকে বলেছিলেন তিনি একটি বার্তা পেয়েছিলেন যেখানে লেখাছিল, ‘আপনি কি আল? ‘আপনি কি আমার মা লিন্ডাকে চেনেন। ‘তখন আমি সত্যিই ভীত হই আমার বুকের ভেতরটা কাঁপছিল’।
ক্লিফসাইড পার্ক থেকে ৬৩ বছর বয়সী আল আনুনিজিয়া বলেন, ‘জাস্টামন্ডের মা চার দশক আগে গর্ভবতী হয়েছিলেন। তখন জাস্টামন্ডের মা বলেছিলেন, তার সন্তানের পিতা তিনি নন’।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি জীবন মরণ প্রশ্ন যেটা আগে কখনোই সমাধান করা হয়নি।’
পিতৃত্বের পরীক্ষার পর প্রমাণ হয় যে আল আনুনিজিয়া তার পিতা। জাস্টামন্ড বাবার সাথে দেখা করার জন্য নিউ জার্সিতে গমন করেছিলেন এবং ১১ তারিখে প্রথম দেখা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবন থেকে আমার মেয়েকে আর কখনো হারাতে চাই না। যতদিন বাঁচবো আমার মেয়েকে নিয়েই বাঁচবো’।