ইসলামি ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১০ নম্বরে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মোট ১৯ দশমিক ৪ শতাংশই ইসলামি ব্যাংকিং। এ তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে সুদান ও ইরান। দেশ দু’টি শতভাগ ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় চলছে।
বিশ্বের ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম ভবনে ‘ইসলামী ব্যাংকিং অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক কর্মশালায় এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থার সহযোগী অধ্যাপক মো. আলমগীর।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্বনর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পরামর্শক মো. আজিজুল হক, বিআইবিএমের সুপারনিউমারির অধ্যাপক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বিআইবিএমের সুপারনিউমারির অধ্যাপক ইয়াছিন আলী প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামি ব্যাংকিংয়ে সৌদি আরবের অবস্থান চতুর্থ; যাদের ৫১ দশমিক ১ শতাংশ ইসলামি ব্যাংকিং।
প্রতিবেদনে ইসলামি ব্যাংকের আর্থিক ও পরিচালন অগ্রগতি সম্পর্কে বলা হয়, অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকের তুলনায় ইসলামি ব্যাংকিং সবদিক দিয়েই লাভজনক। ২০১৬ সালে সাধারণ ব্যাংকিংয়ে নেট প্রফিট মার্জিন যেখানে ১ দশমিক ৯, সেখানে ইসলামি ব্যাংকিং এ ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। একইভাবে মোট সম্পদের বিপরীতে সাধারণ ব্যাংকিংয়ে আয় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইসলামি ব্যাংকিংয়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিআইবিএম বলছে, ইসলামি ব্যাংকিংয়ে খেলাপি ঋণের হারও অনেক কম। ২০১৬ সালে অন্যান্য সাধারণ ব্যাংকিং এ খেলাপি ঋণের হার যেখানে ৯ দশমিক ২ শতাংশ সেখানে ইসলামি ব্যাংকিং এ ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
সারাবিশ্বে ইসলামি ব্যাংকের ৬০ শতাংশ অমুসলিম গ্রাহক রয়েছে বলে আলোচনায় উল্লেখ করা হয়।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরি বলেন, বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যাংক ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু ব্যাংকগুলোর শরীয়া কাউন্সিলের সদস্যদের ইসলামি ব্যাংকিং বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা দুটোই কম।