বাংলাদেশের কাছে হেরে সবার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নেয় নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে কিউদের অবস্থান পঞ্চম। র্যাংকিংয়ের এক ও দুই নম্বর দলের বিদায়টাও নিশ্চিত হয়ে গেল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া বিদায় নিয়েছিল গতকাল (শনিবার), ইংল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে ৪০ রানে হেরে।
র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা তথা এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকা বিদায় নিল আজ (রোববার), ভারতের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে। ‘চোকার’ তকমাটা যেন ভালোভাবেই সেটে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট দলটিরও এমন বিদায়!
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৪.৩ ওভার খেলেই অলআউট। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তোলে ডি ভিলিয়ার্সের দল। জবাবে ৩৮ ওভারেই (৭২ বল হাতে রেখে) মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ভারত।
১৯২ রানের লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে দলীয় ২৩ রানে ধাক্কা খায় ভারত। ১২ রান করা রোহিত শর্মা সাজঘরে ফেলেন মরনে মরকেলের শিকার হয়ে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শিখর ধাওয়ান আজ নিজেকে মেলে ধরেছেন।
ইমরান তাহিরের বলে ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৭৮ রান করেছেন ধাওয়ান। তার ৮৩ বলের ইনিংসটি সাজানো ১২টি চার ও একটি ছক্কায়। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি (৭৬) ও যুবরাজ সিং (২৩)। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন মরকেল ও ইমরান তাহির।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভসূচনাই পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৬ রান। দারুণ জমে উঠেছিল হাশিম আমলা ও কুইন্টন ডি কক জুটি। এই জুটিতে আঘাত হানেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ফেরান ৩৫ রান করা আমলাকে। অশ্বিনের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়েন প্রোটিয়া ওপেনার।
বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন ডি কক। ফিফটিও পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসটা বেশি লম্বা করতে পারেননি। ৫৩ রান করতেই রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড। অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটে কাটা পড়েন। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
দলের অন্যতম ভরসা ফাফ ডু প্লেসিসও টানতে পারলেন না। ৩৬ রান করতেই হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ডআউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ‘কিলার’ মিলার (১) রান আউটের শিকার। ডেপি ডুমিনি ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাকিরা ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কই।
ভারতের পক্ষে সমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ। আর একটি করে উইকেট দখলে নিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা।