Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

saif-al-islamলিবিয়ার নিহত সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির দ্বিতীয় ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফিকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ৪৪ বছর বয়সী সাইফ গত ছয় বছর ধরে লিবিয়ার জিনতান শহরে বেসামরিক একটি বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। ওই বেসামরিক বাহিনীই তাকে মুক্তি দিয়েছে। বেসামরিক বাহিনী বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধেই সাইফকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

chardike-ad

মুক্তির পর দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বাইদা শহরে স্বজনদের কাছে রয়েছেন সাইফ বলে খবর প্রকাশ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। মুক্তির পর থেকে তাকে জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

গাদ্দাফি বেঁচে থাকতে তার দ্বিতীয় পুত্র সাইফকে নিজের উত্তরাধিকারী মনোনীত করেছিলেন। সে হিসেবে এখনও লিবিয়ায় সাইফের অনেক সমর্থক আছে। আবার তার মুক্তির বিষয়টা হয়ত স্বাভাবিক ভাবে নিতে পারবে না অন্যরা। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সাইফের মুক্তিতে দেশটিতে আবারও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। কেউ কেউ, সাইফ আল ইসলামের রাজনীতিতে প্রবেশ করার ধারণা করছেন।

এর আগে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ত্রিপোলির একটি আদালত সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও গাদ্দাফি বিরোধী প্রতিবাদকারীদের হত্যা করার অভিযোগে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছিল সাইফকে।

২০১১ সালে গাদ্দাফি পতনের তিন মাস পর নভেম্বরে নাইজারে পালিয়ে যাওয়ার সময় মরুভূমি থেকে সাইফকে আটক করে বেসামরিক বাহিনী।