ভোলার লালমোহনে প্রেমের বিয়ের দেড় বছরের মাথায় কলেজছাত্রী মাহমুদা মেহের তিথিকে লাশ হতে হলো। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেল তিথির লাশ লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফুলবাগিচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
কামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে রুবেলের ভাই জুয়েল মোবাইল ফোনে জানান, তিথি আত্মহত্যা করেছে। খবরটি শুনে হাসপাতাল গিয়ে তিথির লাশ পান তারা। এ সময় রুবেল বা তার পরিবারের কেউ হাসপাতালে ছিলেন না। তিথির সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রুবেল তিথিকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে বলে তার অভিযোগ।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে রুবেল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তিথিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পরে সামাজিক কারণে আমি বিয়ে মেনে নিই। এর পর থেকে তিথিকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য মারধর করত সে। এ কারণে তিথি আমার কাছে চলে আসে। পরে গত ২৯ মার্চ উপজেলা যুবলীগের এক নেতার মধ্যস্থতায় তিথিকে আবার শ্বশুরবাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর আবারও মোটরসাইকেল দাবি করে তিথিকে নির্যাতন শুরু করে রুবেল।
তিথির শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠিয়েছে লালমোহন থানা পুলিশ। লালমোহন থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় রুবেলকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।